1. [email protected] : anjuman : anjuman
  2. [email protected] : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক
  3. [email protected] : শেয়ারবার্তা : nayan শেয়ারবার্তা
পুঁজিবাজারে বাজেটে নেই কোনো সুখবর
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১১:১৫ পিএম

পুঁজিবাজারে বাজেটে নেই কোনো সুখবর

  • আপডেট সময় : শুক্রবার, ১২ জুন, ২০২০
Budget

আস্থা আর তারল্য সঙ্কটের পর করোনাভাইরাসের প্রভাবে ধুঁকতে থাকা পুঁজিবাজারের জন্য বাজেটে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ ছাড়া আর কোনো সুখবর নেই। স্টেকহোল্ডারদের বিভিন্ন প্রস্তাব ও দাবি উপেক্ষিতই থেকে গেছে এই বাজেটে। বিশেষ করে খোদ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির সুপারিশেরও প্রতিফলন ঘটেনি এতে। রাখা হয়নি দুই স্টক এক্সচেঞ্জ, বিএপিএলসি এবং ডিবিএর সুপারিশও।

আজ বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জাতীয় সংসদে ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করেছেন। তাতে পুঁজিবাজারকে গতিশীল  ও উজ্জীবিত করার জন্য স্বল্প ও মধ্য মেয়াদী ৬টি পদক্ষেপের কথা জানান তিনি। এগুলো হচ্ছে-পুঁজিবাজারে ব্যাংক ও ব্যাংক-বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ বাড়ানো, মার্চেন্ট ব্যাংকার ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য সহজ শর্তে ঋণ সুবিধা পর্যালোচনা, আইসিবির বিনিয়োগ সক্ষমতা বাড়ানো, পুঁজিবাজারে আস্থা বাড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্যে উদ্যোগ গ্রহণ এবং বা্জারে মানসম্পন্ন আইপিও বাড়াতে বহুজাতিক ও সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানি তালিকাভুক্ত করার উদ্যোগ।

অর্থমন্ত্রীর ঘোষিত এসব উদ্যোগ বাজেটের বেশ কয়েক মাস আগেই নেওয়া হয়েছে। এগুলোর বেশিরভাগেরই বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে তেমন কোনো অগ্রগতি নেই।

স্টেকহোল্ডারদের দিক থেকে তালিকাভুক্ত কোম্পানির আয়কর (Corporate Tax) কমানোর প্রস্তাব করা হলেও তাতে সাড়া দেননি অর্থমন্ত্রী। উল্টো তালিকা-বহির্ভূত কোম্পানির আয়কর আড়াই শতাংশ কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

স্টেকহোল্ডাররা লভ্যাংশ আয়ে করমুক্ত সীমা ৫০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ লাখ টাকায় উন্নীত করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু বাজেটে এর কোনো প্রতিফলন নেই।

খোদ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি পুঁজিবাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের মূলধনী মুনাফা করের (Capital Gain Tax) হার ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ এবং বিদেশী বিনিয়োগকারীদের মূলধনী মুনাফা করের হার ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ নির্ধারণের সুপারিশ করে অর্থমন্ত্রীর কাছে চিঠি দিয়েছিল। এই করের হার কমানো হলে বাজারে প্রাতিষ্ঠানিক ও বিদেশী বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারতো।

এছাড়া বিএসইসি বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ বিতরণের সময় কেটে রাখা করকে (উৎসে কর) চূড়ান্ত করদায় হিসেবে বিবেচনা করার সুপারিশ করেছিল। তাতে ব্যক্তি বিনিয়োগকারীরা বিশেষভাবে লাভবান হতে পারতো।

কিন্তু অর্থমন্ত্রী বিএসইসির এসব সুপারিশের কোনটিই বিবেচনায় নেননি। তাই এগুলোর জায়গা হয়নি প্রস্তাবিত বাজেটে।

স্টক এক্সচেঞ্জের পক্ষ থেকে ব্রোকারহাউজের শেয়ার লেনদেনে কমিশন আয়ের উপর উৎসে করের হার দশমিক ০৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে দশমিক ০১৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছিল। দীর্ঘ মন্দার বাজারে ব্রোকারহাউজগুলোর জন্য এই উৎসে কর একটি বড় ধরনের চাপ। ডিবিএ উৎসে কর প্রত্যাহার চেয়েছিল। কারণ উৎসে কর হিসেবে যে পরিমাণ অর্থ কেটে রাখা হয়, বেশিরভাগ ব্রোকারহাউজের প্রযোজ্য কর হয় তার চেয়ে কম। কোনো কোনো ব্রোকারহাউজ বছর শেষে লোকসানও দিচ্ছে। তাই এই কর তুলে দিলে অথবা হারটি অন্তত কমালে তা এই দুর্যোগময় সময়ে প্রতিষ্ঠানগুলোকে টিকে থাকতে সহায়তা করতো। কিন্তু বাজেটে এই প্রস্তাবটিও উপেক্ষিত।

পুঁজিবাজারের মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো ‘ব্যাংক’ না হওয়া সত্ত্বেও উচ্চ হারে আয়কর দিয়ে যেতে হচ্ছে। শুধু ব্যাংক শব্দটির কারণে ব্রোকারহাউজ, অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিসহ অন্যান্য মধ্যবর্তী প্রতিষ্ঠানের চেয়ে বেশি হারে কর দিতে হচ্ছে তাদের। কয়েক বছর ধরেই এই বৈষম্য কমিয়ে অন্যদের সমান কর ধার্য করার প্রস্তাব দিয়ে আসছিল মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন। কিন্তু এবারও আগের কর হারই রয়ে গেছে বহাল।

মিউচুয়াল ফান্ড শিল্পের বিকাশে এই ফান্ডের ইউনিটহোল্ডারদের আয়কে করমুক্ত রাখার প্রস্তাবও ছিল বিশেষজ্ঞদের। যথারীতি এটিও উপেক্ষিত ঘোষিত বাজেটে।

প্রস্তাবিত বাজেটে পুঁজিবাজারে কালো কাটা বিনিয়োগের যে সুযোগ রাখা হয়েছে, তা তারল্য বাড়ানোর ক্ষেত্রে কিছুটা ভূমিকা রাখতে পারে। তবে একই সুবিধা প্লট, ফ্ল্যাটসহ আর কিছু ক্ষেত্রে দেওয়ায় পুঁজিবাজারের মতো ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় এই অর্থ আসবে সামান্যই।

বাস্তবে প্রস্তাবিত বাজেটে বিনিয়োগকারী, ব্রোকারহাউজ, মার্চেন্ট ব্যাংক, তালিকাভুক্ত কোম্পানি-কারো জন্যেই কিছু নেই এবারের বাজেটে।

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:

ভালো লাগলে শেয়ার করবেন...

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ