1. [email protected] : anjuman : anjuman
  2. [email protected] : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক
  3. [email protected] : শেয়ারবার্তা : nayan শেয়ারবার্তা
দাম বাড়ার শীর্ষে জিল বাংলা সুগার মিলস
শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ১২:১৬ পিএম

দাম বাড়ার শীর্ষে জিল বাংলা সুগার মিলস

  • আপডেট সময় : শুক্রবার, ১৭ জুলাই, ২০২০
jil bangla

বিগত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে চার কার্যদিবসেই পুঁজিবাজারে দরপতন হয়েছে। দর হারিয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান। এমন বাজারে শেয়ারের দাম বাড়ার ক্ষেত্রে মহাদাপট দেখিয়েছে পচা বা ‘জেড’ গ্রুপের প্রতিষ্ঠান জিল বাংলা সুগার মিলস।

এক শ্রেণির বিনিয়োগকারীদের কাছে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কোম্পানিটির শেয়ার চাহিদার শীর্ষে থাকায় গত সপ্তাহজুড়েই দাম বেড়েছে। এতে প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দাম বাড়ার তালিকায় শীর্ষ স্থানটি দখল করেছে বছরের পর বছর বিনিয়োগকারীদের কোন লভ্যাংশ না দেয়া এই কোম্পানিটি।

বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ কোম্পানিটির শেয়ারের প্রতি বেশ আগ্রহ দেখালেও এক শ্রেণির বিনিয়োগকারী তাদের কাছে থাকা প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার বিক্রি করতে চাননি। ফলে সপ্তাহজুড়ে কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৫৯ লাখ ৫৮ হাজার টাকার।

কিছু বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার কিনতে বেশ আগ্রহ দেখানোয় সপ্তাহজুড়েই দাম বেড়েছে। এতে প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে গত সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার দাম বেড়েছে ৫৬ দশমিক ৯৬ শতাংশ। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়েছে ১৮ টাকা।

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ৪৯ টাকা ৬০ পয়সা, যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কর্যাদিবসে ছিল ৩১ টাকা ৬০ পয়সা।

শেয়ারের এমন দাম হলেও বছরের পর বছর ধরে কোম্পানিটি লোকসানে নিমজ্জিত। ফলে বিনিয়োগকারীরাও কোম্পানিটি থেকে কোনো ধরনের লভ্যাংশ পায় না। সর্বশেষ কবে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দিয়েছে সে সংক্রান্ত কোনো তথ্য ডিএসইর ওয়েবসাইটে নেই।

তবে ২০১৫ সাল থেকেই কোম্পানিটি বড় ধরনের লোকসানে রয়েছে বলে জানিয়েছে ডিএসই। ২০১৫ সালে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি লোকসান করে ৫৬ টাকা ৮৯ পয়সা। পরের বছর ২০১৬ সালে তা বেড়ে ৬২ টাকা ৫৬ পয়সা হয়। এরপর ২০১৭ সালে ৫৪ টাকা ৯ পয়সা, ২০১৮ সালে ৮০ টাকা ৮২ পয়সা এবং ২০১৯ সালে ১০৩ টাকা ৯০ পয়সা শেয়ার প্রতি লোকসান করেছে কোম্পানিটি।

এদিকে চলতি হিসাব বছরেও কোম্পানিটি বড় ধরনের লোকসানে নিমজ্জিত রয়েছে। চলতি হিসাব বছরের ৯ মাসে (২০১৯ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত) ব্যবসা করে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি লোকসান করেছে ৪৪ টাকা ৭২ পয়সা।

জিল বাংলা সুগার মিলসের পরেই গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহে ছিল জিকিউ বল পেন ইন্ডাস্ট্রিজ। সপ্তাহজুড়ে এই কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ৩৯ দশমিক ৫১ শতাংশ। ২৬ দশমিক ৮৬ শতাংশ দাম বেড়ে এর পরের স্থানেই রয়েছে ইষ্টার্ন ইন্স্যুরেন্স।

এছাড়া দাম বাড়ার শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় থাকা- ‘জেড’ গ্রুপের প্রতিষ্ঠান শ্যামপুর সুগার মিলের ২১ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ, ফাইন ফুডসের ১৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ, অগ্রণী ইন্স্যুরেন্সের ১৭ দশমিক ৭০ শতাংশ, সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্সের ১৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ, বারাকা পাওয়ারের ১৪ দশমিক ৫৬ শতাংশ, প্যরামাউন্ট টেক্সটাইলের ১৩ দশমিক ৫৯ শতাংশ এবং পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের ১২ দশমিক ৬৭ শতাংশ দাম বেড়েছে।

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:

ভালো লাগলে শেয়ার করবেন...

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ