1. [email protected] : anjuman : anjuman
  2. [email protected] : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক
  3. [email protected] : শেয়ারবার্তা : nayan শেয়ারবার্তা
বিগত সপ্তাহে পতনের মধ্যদিয়ে বাজার মূলধন হারিয়েছে ৮ হাজার কোটি টাকা
বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ০৫:৩৯ পিএম

বিগত সপ্তাহে পতনের মধ্যদিয়ে বাজার মূলধন হারিয়েছে ৮ হাজার কোটি টাকা

  • আপডেট সময় : শুক্রবার, ৯ অক্টোবর, ২০২০
DSE_CSE

পুঁজিবাজারে আগের সপ্তাহ উত্থান হলেও বিগত সপ্তাহ (০৪ অক্টোবর-০৮ অক্টোবর) পতনে শেষ হয়েছে লেনদেন। সপ্তাহটিতে পুঁজিবাজারের সব সূচক কমেছে। একই সঙ্গে কমেছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর।

সপ্তাহজুড়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) টাকার পরিমাণে লেনদেন কিছুটা বেড়েছে আর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন কমেছে। সপ্তাহটিতে পুঁজিবাজারের মূলধন ৮ হাজার কোটি টাকা হারিয়েছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, চলতি সপ্তাহে উভয় পুঁজিবাজার মিলে মূলধন ৮ হাজার ১২৮ কোটি ৪৬ লাখ ২৬ হাজার টাকা হারিয়েছে। এর মধ্যে ডিএসইতে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরু আগে বাজার মূলধন ছিল ৪ লাখ ৩ হাজার ৩৯৫ কোটি ৫২ লাখ ৮৮ হাজার টাকায়।

এছাড়া সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৯৯ হাজার ৬৭৪ কোটি ৫ লাখ ৬২ হাজার টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে বাজার মূলধন ৩ হাজার ৭২১ কোটি ৪৭ লাখ ২৬ হাজার টাকা বা ০.৯২ শতাংশ হারিয়েছে।

আর সিএসইতে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরু আগে বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ৩৪ হাজার ৪১০ কোটি ৩৪ লাখ ৬০ হাজার টাকায়। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিব লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৩০ হাজার ৩ কোটি ৩৫ লাখ ৬০ হাজার টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে বাজার মূলধন হারিয়েছে ৪ হাজার ৪০৬ কোটি ৯৯ লাখ টাকা বা ১.৩৭ শতাংশ।

বিগত সপ্তাহে ৫ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৪ হাজার ৬০৪ কোটি ৯৬ লাখ ৯০ হাজার ৫২৯ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের সপ্তাহ থেকে ৫০ কোটি ১৮ লাখ ৯ হাজার ১০৪ টাকা বা ১.১০ শতাংশ বেশি হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৪ হাজার ৫৫৪ কোটি ৭৮ লাখ ৮১ হাজার ৪২৫ টাকার।

তাছাড়া ডিএসইতে সাপ্তাহিক গড় লেনদেন হয়েছে ৯২০ কোটি ৯৯ লাখ ৩৮ হাজার ১০৬ টাকার। আগের সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছিল ৯১০ কোটি ৯৫ লাখ ৭৬ হাজার ২৮৫ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে গড় লেনদেন ১০ কোটি ৩ লাখ ৬১ হাজার ৮২১ টাকা বেশি হয়েছে।

আর সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৭৮.৩৫ পয়েন্ট বা ১.৫৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৯১৬.৯৭ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১৭.৮২ পয়েন্ট বা ১.৫৮ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৪১.৩৪ পয়েন্ট বা ২.৪২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১১০৮.৮০ পয়েন্টে এবং ১৬৬৯.৩৭ পয়েন্টে।

বিগত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট ৩৫৯টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১১১টির বা ৩০.৯১ শতাংশের, কমেছে ২১৬টির বা ৬০.১৬ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩২টির বা ৮.৯১ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।

এদিকে অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিগত সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ১৪৯ কোটি ৫ লাখ ৩২ হাজার ০০১ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২১৭ কোটি ১৫ লাখ ২৩ হাজার ৮৩২ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন ৬৮ কোটি ৯ লাখ ৯১ হাজার ৮৩১ টাকা বা ৩১.৩৬ শতাংশ কমেছে।

বিগত সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৫৮.০১ পয়েন্ট বা ১.৮০ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ২৯.৫০ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসসিএক্স ১৫২.১১ পয়েন্ট বা ১.৭৭ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক ২৫২.৬৫ পয়েন্ট বা ২.১২ শতাংশ, সিএসই-৫০ সূচক ২৬.৫৪ পয়েন্ট বা ২.৫৮ শতাংশ এবং সিএসআই ১৯.৭৮ পয়েন্ট বা ২.১৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৮ হাজার ৪২৩.৩৭ পয়েন্টে, ১১ হাজার ৬১৭.৯৪ পয়েন্টে, ১০০২.৩৩ পয়েন্টে এবং ৯০৪.০৮ পয়েন্টে।

এছাড়া সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩১৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১০৭টির বা ৩৩.৮৬ শতাংশের দর বেড়েছে, ১৮০টির বা ৫৬.৯৬ শতাংশের কমেছে এবং ২৯টির বা ৯.১৭ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:

ভালো লাগলে শেয়ার করবেন...

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ