1. [email protected] : anjuman : anjuman
  2. [email protected] : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক
  3. [email protected] : শেয়ারবার্তা : nayan শেয়ারবার্তা
৩৭ মিউচুয়াল ফান্ড খতিয়ে দেখাসহ ১৯ দফা দাবি
সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৬:৫৩ এএম

৩৭ মিউচুয়াল ফান্ড খতিয়ে দেখাসহ ১৯ দফা দাবি

  • আপডেট সময় : সোমবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২০
BSEC

দেশের পুুুুঁজিবাজারের ৩৭ মিউচুয়াল ফান্ডের ভূমিকা খতিয়ে দেখার স্থায়ী স্থিতিশীলতার লক্ষে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে ১৯ দফা দাবি জানিয়ে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ।

আজ ১৯ অক্টোবর বিএসইসির সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ঐক্য পরিষদের নেতারা ১৯ দফা দাবি তুলে ধরেন।

নিম্নে দাবিগুলো তুলে ধরা হলো-

১. করোনাকালীন সময়ের কথা চিন্তা করে আইপিও সাবস্ক্রিপশন  আপাততঃ ৩ মাস বন্ধ রাখতে হবে।

২. পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতার বৃহত্তর স্বার্থে অতিদ্রুত “বাইব্যাক আইন” পাস করতে হবে। এক্ষেত্রে কোম্পানীর পরিচালনা পর্ষদকে ইস্যু মূল্যে অথবা ঘঅঠ এর ৫% কম এই ২টির মধ্যে যেটি বেশি হবে সেই মূল্যে শেয়ার বাইব্যাক করতে হবে।

৩. কোন কোম্পানীর রিজার্ভের পরিমাণ ভালো থাকা সত্ত্বেও, সে কোম্পানীর শেয়ার দর যদি অস্বাভাবিকভাবে কমে যায় তাহলে ঐ কোম্পানীকে রিজার্ভ থেকে অবশ্যই শেয়ার বাইব্যাক করতে হবে।

৪. মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদেয় ঐতিহাসিক যুগান্তকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক বাজারের পতন রোধকল্পে ‘ফ্লোর প্রাইজ’ পদ্ধতি বহাল রাখতে হবে এবং দশ টাকার নিচে বা ফেস ভ্যালুর নিচের প্রত্যেকটি শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস ভ্যালু ন্যূনতম দশ টাকায় নির্ধারণ করতে হবে।

৫. মহামান্য হাইকোর্ট কর্তৃক নির্দেশিত কোম্পানী আইনের ২সিসি ধারা মোতাবেক শেয়ার বাজারের লিস্টেড প্রতিটি কোম্পানীর পরিচালকগণকে সম্মিলিতভাবে ন্যূনতম ৩০% শেয়ার ধারণ করতে হবে এবং এককভাবে পরিচালকগণকে ২% শেয়ার ধারণ করতে হবে। ২% শেয়ার ধারণে ব্যর্থ কোন কোম্পানী পরিচালকের পদ শূণ্য হলে যদি এর বাইরে কোন বিনিয়োগকারী বা প্রতিষ্ঠান ২% শেয়ার ধারণ করে তারা অটোমেটিকভাবে পরিচালকের পদ পেয়ে যাবে- এই ব্যবস্থা করতে হবে।

৬. স্বল্পমূলধনী ও দুর্বল কোম্পানীকে আইপিও অনুমোদন দেওয়া যাবে না। ঐ সমস্ত কোম্পানী পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হবে তাদের চধরফ টঢ় ঈধঢ়রঃধষ কম পক্ষে ২শ কোটি টাকা হতে হবে। কোন কোম্পানীকে আইপিওতে আসতে হলে পরিশোধিত মূলধনের কমপক্ষে ১০ শতাংশ শেয়ার ছাড়তে হবে।

৭. রাইট শেয়ার ইস্যু বন্ধ রাখতে হবে। তবে যেসকল কোম্পানী পরপর কমপক্ষে ০৫ বৎসর ১০% হারে ক্যাশ ডিবিডেন্ট দিয়েছে/দিবে তাদের ক্ষেত্রে রাইট শেয়ার ইস্যুর বিষয়টি বিবেচনা করা যাবে।

৮. বাজারের তারল্য প্রবাহ বৃদ্ধি করার জন্য বিদ্যমান মার্জিন লোন প্রদানের হার ১ : ০.৫% থেকে বৃদ্ধি করে ন্যূনতম ১:১ করার দাবি করছি। মার্জিন লোনের সুদ বার্ষিক শতকরা ১০ টাকা করতে হবে।

৯. সরকার ঘোষিত সকল ব্যাংকগুলোকে শেয়ার বাজারে দুইশো (২০০) কোটি টাকা করে বিনিয়োগের সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধি করে ন্যূনতম পাঁচশো (৫০০) কোটি টাকা পর্যন্ত উন্নীত করতে হবে।

বাজারের আস্থা সৃষ্টি ও তারল্য সংকট দ্রুত দূর করার জন্য উক্ত বিনিয়োগসমূহ বাধ্যতামূলকভাবে সর্বোচ্চ আগামী ডিসেম্বর ২০২০ইং এর মধ্যে বিনিয়োগ সম্পন্ন করতে হবে।

১০. আন্তর্জাতিক অর্থনীতি, শেয়ার বাজার এবং ব্যাংকের মানদন্ডের সাথে তাল মিলিয়ে এদেশীয় সরকারি-বেসরকারি খাতকে আরও অধিকতর শক্তিশালী ও গতিশীল করার জন্য বাস্তবতার আলোকে সময় উপযোগী ব্যাংক ঋণের বিকল্প হিসেবে একটি শক্তিশালী বন্ড মার্কেট সৃষ্টি করতে হবে।

১১. যেসকল অডিটর, ইস্যু ম্যানেজার, আন্ডার রাইটার, এ্যাসেট ভ্যালুয়েশন কোম্পানী, স্পন্সশর মিথ্যা তথ্য দিয়ে আইপিও অনুমোদনে সহায়তা করে বিনিয়োগকারীদের কষ্টার্জিত অর্থ লুটপাট করেছে তাদেরকে ৩ (তিন) বৎসরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে এবং আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

১২. পাবলিক ইস্যু রুলস্ ২০১৫ এর আওতাধীন বুক বিল্ডিং পদ্ধতি বাতিল করতে হবে এবং পূর্বের ন্যায় ফ্রিক্সড প্রাইজ পদ্ধতিতে আইপিও অনুমোদনের ব্যবস্থা করতে হবে।

ইতিপূর্বে অনুষ্ঠিতব্য বিডিং প্রক্রিয়ায় অনিয়ম ও দুর্নীতির সাথে জড়িত ইস্যু ম্যানেজার, ইলিজেবল ইনভেষ্টর ও কোম্পানী কর্তৃপক্ষকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

১৩. ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং এ্যাক্ট অতি দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। ওটিসি মার্কেট বন্ধ করে সেখানকার কোম্পানী সমূহকে প্রয়োজনে কিছু ছাড় দিয়ে হলেও মূল বাজারে ফিরিয়ে আনতে হবে বা তাদের স্থাবর-অস্থাবর সকল সম্পত্তি বিক্রি করে ঘঅঠ অনুযায়ী বিনিয়োগকারীদের অর্থ ফেরত দিতে হবে।

১৪. যেসকল ব্রোকার হাউজের ডিলার একাউন্টে ৫ (পাঁচ) কোটি টাকা ইনভেষ্টমেন্ট নেই, তাদেরকে ইলিজেবল ইনভেষ্টরের কোটা থেকে ও ফেক প্রভিডেন্ট ফান্ডকেও ইলিজেবল ইনভেষ্টরের কোটা থেকে বাদ দিতে হবে।

১৫. বিনা কারণে ডিলিস্টিং হওয়া রহিমা ফুডকে মূল মার্কেটে ফিরিয়ে আনতে হবে এবং চখঋ-এর লেনদেন পুণরায় চালু করতে হবে।

১৬. বাজারে বর্তমানে লিস্টেড সাইত্রিশ (৩৭) টি মিউচুয়াল ফান্ডের ভূমিকা খতিয়ে দেখতে হবে। কারণ প্রচার আছে যে, মিউচুয়াল ফান্ড গুলো বাজার থেকে টাকা উত্তোলন করে সেই টাকা শেয়ার বাজারে যথাযথ সময়ে, যথাযথভাবে বিনিয়োগ না করে তারা নিজেদের সুবিধামতো বিভিন্ন বেনামি ব্যবসা এমনকি ব্যাংকেও এফডিআর করে বলে প্রচুর অভিযোগ আছে।

তাই তাদের ফান্ড গুলোকে কঠোর তদারকির আওতায় এনে সর্বোচ্চ দুই মাসের মধ্যে সমুদয় টাকা শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ বাধ্য করতে হবে।

১৭. সিডিবিএল, ডিএসই, সিএসই কে সম্পূর্ণ ঢেলে সাজাতে হবে। শতভাগ ডিজিটাল, অনলাইন ও আধুনিক সেবার আওতায় তাদেরকে দ্রুত নিয়ে আসতে হবে, যাতে করে অদূর ভবিষ্যতে যে কোন দূর্যোগ/দূর্ঘটনা/ প্রতিকূলতার মধ্যেও বাংলাদেশ পূঁজিবাজার শতভাগ Confident and transparently চলমান থাকতে পারে। কোনো ভাবেই বৈশ্বিক পুঁজিবাজার থেকে আমাদের পূঁজিবাজারকে বিচ্ছিন্ন করা যাবে না।

১৮. পূঁজিবাজারের প্রধানতম প্রাণশক্তি সেকেন্ডারি মার্কেটকে আরও গতিশীল, প্রাণবন্ত, লাভজনক, নিরাপদ করার জন্য শক্তিশালী মনিটরিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে।

যাতে করে দূর্নীতিবাজ ও লুটপাটকারীরা ভবিষ্যতে পুঁজিবাজারকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে না পারে।

১৯. আন্তর্জাতিক মানদন্ড অর্জন ও বাজারের পরিধি ব্যাপকহারে বৃদ্ধির জন্য শেয়ারবাজারে আরও অধিক হারে বন্ড ইস্যু, মিউচুয়্যাল ফান্ড ইস্যু, পেনশন ফান্ডে বিনিয়োগ উৎসাহিত করন, প্রফেশনাল অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের অনুমতি প্রদানের দাবি করছি।

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:

ভালো লাগলে শেয়ার করবেন...

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ