পুজিবাজারের সেকেন্ডারি মার্কেটে ন্যূনতম বিনিয়োগ থাকলে প্রাথমক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) শেয়ার পাবেন আবেদনকৃত সকল বিনিয়োগকারীরা। এছাড়া ইলেকট্রনিক্স সাবস্ক্রিপশন সিস্টেম (ইএসএস) হালনাগাদ করা, লট পদ্ধতি বাতিল করে আবেদন ফি নির্ধারণ করা এবং নতুন কোম্পানির লেনদেন চালুর সময় কমিয়ে আনার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে এ সংক্রান্ত মূল্যায়ন কমিটি।
রবিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকালে আগারগাঁওয়ে সিকিউররিটিজ কমিশন ভবনে আইপিও শেয়ার বরাদ্দের বিষয়ে গঠিত কমিটির প্রথম সভায় এসব বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
এ সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) পরিচালক ও গঠিত কমিটির সভাপতি মনসুর রহমান। এসময় ডিএসইর ৩ জন, সিএসইর ৩জন ও সিডিবিএলর ২জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষ এ বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন বিএসইসি পরিচালক ও গঠিত কমিটির সভাপতি মো. মনসুর রহমান।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, পুজিবাজারে সেকেন্ডারি মার্কেটে সর্বনিম্ন ২০ হাজার টাকা বিনিয়োগ থাকলে আইপিওতে আবেদন করা যাবে। এ বিষয়টি কমিশনের কাছে প্রস্তাব করবে গঠিত কমিটি। তবে টাকার পরিমাণ কত হবে সেটা চূড়ান্ত করবে কমিশন। এছাড়া লটারির প্রথা বাতিল করে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থায় বিনিয়োগকারীদের বিওতে শেয়ার বরাদ্দ দেওয়া হবে।
এদিকে আবেদনকৃত সকল বিনিয়োগকারীকে শেয়ার বরাদ্দ দিতে সবার আগে ইএসএস হালনাগাদ করার কথা ভাবছে গঠিত কমিটি। সেক্ষেত্রে ব্রোকারেজ হাউজ ও সিডিবিএলে শেয়ারের লট পদ্ধতির পরিবর্তে নির্ধারিত আবেদন ফি অনুযায়ী তথ্য হালনাগাদ করতে হবে। আর সিডিবিএল ও ব্রোকারেজ হাউজ ছাড়াও ইএসএস সিস্টেমে মার্চেন্ট ব্যাংকের তথ্যও হালনাগাদ করা হবে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, আইপিও আবেদনের ক্ষেত্রে শেয়ার লট প্রথা বাতিল করে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি নির্ধারণ করা হবে। মোট আবেদনকারী অনুযায়ী শেয়ার বরাদ্দ দিয়ে বাকি টাকা বিও একাউন্টে ফেরত দেয়া হবে। যেমন- কোনো কোম্পানি ১ কোটি শেয়ার বাজারে ছাড়লো, আবেদন করলো ৩০ লাখ। এক্ষেত্রে ১ কোটি শেয়ার ৩০ লাখ বিনিয়োগকারির মধ্যে সমানভাবে বন্টন করা হবে। এক্ষেত্রে একজন বিনিয়োগকারী বন্টনকৃত শেয়ার পাবেন। ওই শেয়ার অনুযায়ী ব্রোকার হাউজ অথবা মার্চেন্ট ব্যাংক নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা কেটে রেখে বাকিটা ফেরত দেবে বিনিয়োগকারীদের।
আর সাবস্ক্রিপশন চালু হওয়ার পর থেকে লেনদেন চালু পর্যন্ত সময় কমিয়ে নিয়ে আসার বিষয়ে প্রস্তাব করবে গঠিত কমিটি। বর্তমানে সাবস্ক্রিপশন শুরু হওয়ার পর থেকে লেনদেন চালু হতে ৪৫ দিন সময় লাগে। এ সময় কমিয়ে ৩০ দিন করার বিষয়ে প্রস্তাব করা হবে।