1. [email protected] : anjuman : anjuman
  2. [email protected] : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক
  3. [email protected] : শেয়ারবার্তা : nayan শেয়ারবার্তা
ঝুঁকিপূর্ণ সত্ত্বেও দাম বাড়ছে সমতা লেদারের
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১০:২৯ পিএম

ঝুঁকিপূর্ণ সত্ত্বেও দাম বাড়ছে সমতা লেদারের

  • আপডেট সময় : রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০১৯

দীর্ঘদিন ধরেই বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ থেকে বঞ্চিত করছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সমতা লেদার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। এ কোম্পানির মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) গত বৃহস্পতিবার দাঁড়িয়েছে ৫৮৭ পয়েন্টে। পিই রেশিও অনুযায়ী কোম্পানিতে বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। আর এমন একটি কোম্পানির দর টানা বাড়ছে বাজারের জন্য ইতিবাচক নয়। ঝুঁকিপূর্ণ কোম্পানিটির দর বাড়ার পেছনে কোনো চক্র জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা উচিত। তাছাড়া বিনিয়োগকারীদের ক্ষতির শঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

কোম্পানির শেয়ার দর পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গত ২৯ অক্টোবর কোম্পানিটির শেয়ার ৭৪ টাকা দরে লেনদেন হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার কোম্পানির শেয়ার দর সর্বশেষ ১১৮ টাকা ৫০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে। ১৭ কার্যদিবসের ব্যবধানে কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে ৪৪ টাকা । গত বৃহস্পতিবার কোম্পানির মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) দাঁড়িয়েছে ৫৮৭ পয়েন্টে। সে অনুযায়ী কোম্পানিতে বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
বিশ্লেষকদের মতে, মূল্য আয় অনুপাত ১৫ পয়েন্ট পর্যন্ত বিনিয়োগ নিরাপদ। এর উপরে গেলে ধীরে ধীরে কোম্পানির বিনিয়োগ ঝুঁকির দিকে যায়। কোনো কোম্পানির মূল্য আয় অনুপাত ৪০ পয়েন্টের ওপরে গেলে ওই কোম্পানিতে মার্জিন ঋণ দেয়া নিয়ম নেই। অথচ আলোচ্য কোম্পানিটির পিই রেশিও ৫৮৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

এদিকে, সমতা লেদারের পরিচালনা পর্ষদ ২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের নোটিফিকেশন লঙ্ঘন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। আর এ কারণে বিএসইসি কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) চূড়ান্ত অনুমোদন না হওয়ার আগে এ বোনাস শেয়ার শেয়ারহোল্ডারদের বিও হিসাবে ক্রেডিট না করার জন্য সেন্ট্রাল ডিপোজেটরি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল) কে নির্দেশ দিয়েছে।

গত ২ অক্টোবর প্রকাশিত বিএসইসির ওই নোটিফিকেশনে বলা হয়েছে- শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে যেসব কোম্পানির পুঞ্জীভূত লোকসান রয়েছে; তারা এখন বিনিয়োগকারীদের জন্য লভ্যাংশ প্রদান করতে পারবে। কোম্পানিগুলোর এমন পুঞ্জীভূত লোকসান থাকলেও সংশ্লিষ্ট বছরের অর্জিত মুনাফা হতে নগদ লভ্যাংশ প্রদান করতে পারবে। বিনিয়োগকারী ও শেয়ারবাজারের স্বার্থে তালিকাভুক্ত কোম্পানির লভ্যাংশ ঘোষণা ও বিতরণ সংক্রান্ত একটি নোটিফিকেশন ২০১৮ সালের ২০ জুন প্রকাশ করা হয়। পরবর্তীতে বোনাস শেয়ারসংক্রান্ত আরো একটি নোটিফিকেশন চলতি বছরের ২৩ মে প্রকাশ করা হয়। ব্যাখ্যায় বলা হয় ‘অন্যান্য সিকিউরিটিজ আইন পরিপালন করে, স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত কোম্পানিসমূহ পুঞ্জীভূত লোকসান বিদ্যমান থাকা সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট বছরের অর্জিত মুনাফা হতে নগদ লভ্যাংশ সুপারিশ, ঘোষণা ও বিতরণ করতে পারবে।’

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোম্পানিটি বিএসইসির নোটিফিকেশন লঙ্ঘন করে লভ্যাংশ দিয়েছে। এরপর থেকে কোম্পানির শেয়ার দর টানা বাড়ছে। পিই রেশিও অনুযায়ী কোম্পানিতে বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ। এমন কোম্পানি আইন লঙ্ঘন করে লভ্যাংশ ঘোষণাসহ দর বাড়ানোর পেছনে কোনো কারসাজিচক্র জড়িত কিনা তা বিএসইসির খতিয়ে দেখা উচিত। তাছাড়া বিনিয়োগকারীদের ক্ষতির শঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছেন তারা।

পুঁজিবাজারে ১৯৯৮ সালে তালিকাভুক্ত হওয়া ‘জেড’ ক্যাটাগরির কোম্পানিটির মোট রিজার্ভ রয়েছে ৪ কোটি ৬০ লাখ ৮০ হাজার টাকা। কোম্পানির অনুমোদিত মূলধন ৫০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ১০ কোটি ৩২ লাখ টাকা। কোম্পানির শেয়ার সংখ্যা ১ কোটি ৩ লাখ ২০ হাজার। এর মধ্যে উদ্যোক্তাদের কাছে ৩০ দশমিক ২৪ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৬৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ শেয়ার আছে।

শেয়ারবার্তা/ সাইফুল ইসলাম

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:

ভালো লাগলে শেয়ার করবেন...

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ