1. [email protected] : anjuman : anjuman
  2. [email protected] : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক
  3. [email protected] : শেয়ারবার্তা : nayan শেয়ারবার্তা
লোকসান সত্বেও বিনিয়োগকারীদের ঠকায়নি সাত কোম্পানি
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১২:২০ এএম

লোকসান সত্বেও বিনিয়োগকারীদের ঠকায়নি সাত কোম্পানি

  • আপডেট সময় : শনিবার, ৯ নভেম্বর, ২০১৯

সদ্য সমাপ্ত ৩০ জনু ২০১৯ অর্থবছরের ব্যবসায় লোকসান সত্ত্বেও পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৭ কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ বিনিয়োগকারীদের ঠকায়নি। কোম্পানিগুলো রিজার্ভ থেকে বিনিয়োগকারীদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

এদিকে, সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে ব্যবসায় মুনাফা সত্ত্বেও ৭ কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ বিনিয়োগকারীদের কোন লভ্যাংশ দেয়নি। যেসব কোম্পানি মুনাফা থাকা সত্বেও বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দেয়নি, সেসব কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদকে ধিক্কার জানিয়েছে। একইভাবে লোকসান করেও রিজার্ভ থেকে লভ্যাংশ ঘোষণা করায় কোম্পানিগুলোর পর্ষদকে তাঁরা সাধুবাদ জানিয়েছে। বিনিয়োগকারীদের মতে, কোম্পানি তথা শেয়ারহোল্ডারদের জন্যই রিজার্ভ রাখা হয়। আর সেখান থেকে এবার ৭ কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ার মাধ্যমে পুরো পুঁজিবাজারের পাশে এসে দাঁড়িঁয়েছে।

ন্যাশনাল টিউবস : রাষ্ট্রাধীন এই কোম্পানিটি গত ৩ বছর ধরে লোকসানে রয়েছে। তবে এবার লোকসান কমে এসেছে শেয়ারপ্রতি ১৬ পয়সায়। গত বছর শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল ২ টাকা ৫ পয়সা। কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ আগের বছরের ন্যায় এবারও শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ বো্নাস লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ৩১ কোটি ৬৬ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের এই কোম্পানিটির রিজার্ভ রয়েছে ৫২৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। এটি পুঁজিবাজারে তালিকভুক্ত সর্বোচ্চ রিজার্ভের কোম্পানিগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি কোম্পানি। এর রিজার্ভের পরিমাণ পরিশোধিত মূলধনের ১৬ দশমিক ১৬ গুণের বেশি।

জিকিউ বলপেন : আগের অর্থবছরেও কোম্পানিটির পর্ষদ লোকসান সত্ত্বেও ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। ওই অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি ৫ টাকা ১২ পয়সা লোকসান হয়েছিল। এবার লোকসান হয়েছে শেয়ারপ্রতি ১ টাকা ৭২ পয়সা। লোকসান সত্বেও কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বর্তমানে ৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানিটিতে ১১২ কোটি ৩২ লাখ টাকার রিজার্ভ রয়েছে।

খুলনা প্রিন্টিং : ২০১৪ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত এই কোম্পানির জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে ঝামেলায় মাঝে উৎপাদন বন্ধ ছিল। তবে উৎপাদন শুরু হলেও ২০১৮-১৯ অর্থবছরে মুনাফা করতে পারেনি। এ বছর কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ২ টাকা ৩৪ পয়সা। আগের দুটি অর্থবছরে লোকসান করে লভ্যাংশ না দিলেও এবার ১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ৭৩ কোটি টাকার ৪ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানিটিতে ৩৪ কোটি ১৪ লাখ টাকার রিজার্ভ রয়েছে।

মোজাফ্ফর হোসাইন : মেশিনারীজ অর্ধেক বন্ধ থাকার কারণে কোম্পানিটি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে লোকসানে পতিত হয়েছে। এবছর লোকসান হয়েছে শেয়ারপ্রতি ৯৩ পয়সা। তারপরও কোম্পানিটির পর্ষদ লভ্যাংশ থেকে শেয়ারহোল্ডারদের বিমুখ করেনি। এবারও ২ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ৯৯ কোটি টাকার ১ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানিটিতে ৬৪ কোটি ৮১ লাখ টাকার রিজার্ভ রয়েছে।

হাক্কানি পাল্প : ১৯ কোটি টাকার পরিশোধিত মূলধনের এ কোম্পানিটি কয়েক বছর ধরে লোকসান রয়েছে। তারপরেও আগের বছরের ন্যায় এবারও লোকসান নিয়ে ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কোম্পানিটির ৩২ কোটি ৮৪ লাখ টাকার রিজার্ভ রয়েছে।

এটলাস বাংলাদেশ : রাষ্ট্রাধীন এই কোম্পানিটি ৪ অর্থবছর ধরে লোকসান রয়েছে। তবে কোম্পানিটির পর্ষদ কখনো লভ্যাংশ দেয়া থেকে বিরতি দেয়নি। এবার শেয়ারহোল্ডারদের জন্য কোম্পানিটি ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধনের তুলনায় এখনো কয়েকগুণ বেশি রিজার্ভ রয়েছে। বর্তমানে ৩৩ কোটি ১৩ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের এই কোম্পানির রিজার্ভ রয়েছে ৩৯৭ কোটি ৮২ লাখ টাকা। এর রিজার্ভের পরিমাণ পরিশোধিত মূলধনের ১২ গুণ।

ইস্টার্ন কেবলস : রাষ্ট্রাধীন এই কোম্পানিটি আগের অর্থবছরেও লোকসান করে। তবে লভ্যাংশ থেকে বঞ্চিত করেনি। এবারও কোম্পানিটির পর্ষদ লোকসান সত্ত্বেও ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের এই কোম্পানির রিজার্ভ রয়েছে ৪৯ কোটি ১২ লাখ টাকা।

শেয়ারবার্তা / মিলন

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:

ভালো লাগলে শেয়ার করবেন...

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ