1. [email protected] : anjuman : anjuman
  2. [email protected] : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক
  3. [email protected] : শেয়ারবার্তা : nayan শেয়ারবার্তা
জেনারেশন নেক্সটের চেয়ারম্যানসহ পরিচালকদের জরিমানা করল বিএসইসি
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:০৯ পিএম

জেনারেশন নেক্সটের চেয়ারম্যানসহ পরিচালকদের জরিমানা করল বিএসইসি

  • আপডেট সময় : শনিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০১৯
Generation-Next

বস্ত্র খাতের কোম্পানি জেনারেশন নেক্সট লিমিটেডের চেয়ারম্যান তৌহিদুল ইসলাম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাভেদ ওপেনহ্যাফেন, পরিচালক মোহাম্মদ আকতার, রাজিব শেঠি ও ওয়াহিদ সালাম, মনোনিত পরিচালক মার্ক নীরঞ্জন চৌধুরী ও রেফায়েত রহমানকে পাঁচ লাখ টাকা করে জরিমানা করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। সিকিউরিটিজ আইন অমান্য করায় এ জরিমানা করা হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এদিকে ডিএসইতে সর্বশেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারদর অপরিবর্তিত থেকে প্রতিটি সর্বশেষ দুই টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল দুই টাকা ৯০ পয়সা। দিনজুড়ে ছয় লাখ সাত হাজার ৭৮৩টি শেয়ার মোট ১৬০ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ১৭ লাখ ২৯ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন দুই টাকা ৮০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ দুই টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর দুই টাকা ৩০ পয়সা থেকে সাত টাকা ৯০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।

এদিকে ৩০ জুন ২০১৯ সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে কোনো লভ্যাংশ না দেওয়ার ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪৩ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৮৯ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে এক টাকা ৪৬ পয়সা (লোকসান)।

একইসঙ্গে চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০১৯) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। আর গত বছরের তুলনায় এ বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় কমেছে। প্রাপ্ত তথ্যমতে, প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ২০ পয়সা, আগের বছর একই সময় ছিল ২৫ পয়সা। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় কমেছে পাঁচ পয়সা। এছাড়া ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ৯ পয়সা, যা ২০১৯ সালের ৩০ জুনে ছিল ১১ টাকা ৮৯ পয়সা। আর এ প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ছয় পয়সা। আগের বছর একই সময় ছিল ১৫ পয়সা।

৩০ জুন ২০১৮ সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই সময় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা এক পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) হয়েছে ১২ টাকা ৬০ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ৪৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।

এর আগে ৩০ জুন ২০১৭ সমাপ্ত হিসাববছরে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেয়। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৫৯ পয়সা এবং এনএভি দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ৭৫ পয়সা। এটি আগের বছরের একই সময় ছিল যথাক্রমে এক টাকা ১৫ পয়সা ও ১৩ টাকা ৩৩ পয়সা।

কোম্পানিটি ২০১২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘জেড’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানির ৫০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৪৯৪ কোটি ৯৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। কোম্পানির মোট ৪৯ কোটি ৪৯ লাখ ৭৪ হাজার ৫৫৬টি শেয়ার রয়েছে। মোট শেয়ারের মধ্যে ১৩ দশমিক ৮২ শতাংশ উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের, প্রাতিষ্ঠানিক ২৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ৬০ দশমিক ৪৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাত দুই দশমিক ৮৭।

শেয়ারবার্তা/ সাইফুল ইসলাম

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:

ভালো লাগলে শেয়ার করবেন...

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ