1. [email protected] : anjuman : anjuman
  2. [email protected] : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক
  3. [email protected] : শেয়ারবার্তা : nayan শেয়ারবার্তা
ইন্টারনেট সেবায় ফোরজি গ্রাহক আড়াই কোটি
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৫২ পিএম

ইন্টারনেট সেবায় ফোরজি গ্রাহক আড়াই কোটি

  • আপডেট সময় : শনিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০১৯
4g-network

দেশে ডিজিটাল সেবার পরিধি বাড়ায় ক্রমেই সমৃদ্ধ হচ্ছে চতুর্থ প্রজন্মের ইন্টারনেট সেবা ফোরজি গ্রাহক। গত ২১ মাসে দেশে ফোরজি গ্রাহক দাঁড়িয়েছে প্রায় দুই কোটি ৪৯ লাখ ৫৫ হাজার। আর সারা দেশে বর্তমানে মোবাইল ফোন অপারেটগুলোর ৩১ হাজার ফোরজি সাইট চালু রয়েছে।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) প্রাপ্ত তথ্যমতে, গত অক্টোবর পর্যন্ত গ্রামীণফোনের ফোরজি গ্রাহক দাঁড়িয়েছে প্রায় এক কোটি ১৭ লাখ ২৯ হাজার। এ সময় রবি আজিয়াটার ফোরজি গ্রাহক প্রায় ৮৬ লাখ ৮৮ হাজার ও বাংলালিংকের ফোরজি গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ৩৭ লাখ ২৪ হাজার। এছাড়া রাষ্ট্রীয় মালিকাধীন প্রতিষ্ঠান টেলিটকের ফোরজি গ্রাহক আট লাখ ১৪ হাজার।

এদিকে মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর সারা দেশে প্রায় ৩১ হাজার ফোরজি সাইট (বিটিএস) চালু রয়েছে। এর মধ্যে তৃতীয় প্রান্তিকের (সেপ্টেম্বর পর্যন্ত) হিসাব অনুযায়ী, গ্রামীণফোনের সারা দেশে ফোরজি সাইট চালু রয়েছে প্রায় ১৬ হাজার ৩৮৯টি। ফোরজি কভারেজে সবচেয়ে বেশি সাইট চালু রয়েছে এ অপারেটরটির। আর সবচেয়ে কম ফোরজি সাইট চালু রয়েছে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান টেলিটকের। অপারেটরটির এ বছরের মধ্যে দেশব্যাপী ফোরজি সেবা প্রদানের কথা থাকলেও কেবল বিভাগীয় শহরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। অন্যদিকে রবি আজিয়াটার ফোরজি সাইট চালু রয়েছে প্রায় ৯ হাজার ও বাংলালিংকের ফোরজি সাইট চালু রয়েছে প্রায় সাড়ে চার হাজার।

এদিকে মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর অভিযোগ, টাওয়ার শেয়ারিং জটিলতার কারণে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে কাজ করতে পারছে না। এতে আশানুরূপ গ্রাহক বাড়াতে ব্যর্থ হচ্ছে তারা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলালিংকের এক কর্মকর্তা এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘টাওয়ার শেয়ারিং লাইসেন্স প্রদানের এক বছর পেরিয়ে গেলেও কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি কোনো প্রতিষ্ঠান। যদিও চার কোম্পানিকে এক বছরের মধ্যে কাজ শুরুর শর্তে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে শুধু বাংলালিংকই নয়, কোনো অপারেটরই নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে কাজ করতে পারছে না। শুধু তাই নয়, কোনো টাওয়ার বন্ধ করে দিলে নতুন করে সেই টাওয়ার প্রতিস্থাপনেরও কাজ করতে পারছে না অপারেটরগুলো। যদিও ফোরজি সেবা সম্প্রসারণের জন্য এই সময়টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

তিনি বলেন, দেশে ফোরজি একটি নতুন প্রযুক্তি। এই প্রযুক্তি সম্প্রসারণে নিয়ন্ত্রক কমিশন থেকে যতটুকু সাপোর্ট পাওয়ার কথা তা পাচ্ছে না বলেও অভিযোগ অপারেটগুলোর। উল্টো মোবাইল টাওয়ার সম্প্রসারণ কার্যক্রম বন্ধ হয়ে আছে। তবে টাওয়ার শেয়ারিং কার্যক্রম চালু হলে ফোরজিতে বিপুল পরিমাণ গ্রাহক বাড়বে বলেও জানান তিনি।

টেলিটকের ফোরজি সম্প্রসারণের ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির ফোরজি প্রজেক্ট ডিরেক্টর রেজাউল কবির বলেন, ‘এ বছর দেশব্যাপী ফোরজি সেবা প্রদানের কথা থাকলেও টেকনিক্যাল কিছু বিষয়ের কারণে তা হচ্ছে। তবে আশা করছি, নতুন বছরের জুনের মধ্যে আমরা সারা দেশে ফোরজি সেবা প্রদানে সক্ষম হবো। বর্তমানে দেশের বিভাগীয় শহরগুলোয় প্রায় দুই হাজারের মতো ফোরজি সাইট চালু রয়েছে।’

উল্লেখ্য, নতুন নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের ই-কমার্সে মানুষের আগ্রহ বাড়ছে। এদেশের ই-কমার্সের সঙ্গে বেশিরভাই তরুণ-তরুণী জড়িত। ফোরজি প্রযুক্তির আশানুরূপ সেবা না পেলেও কাজের প্রয়োজনে ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ছে। এটি পর্যায়ক্রমে বাড়তে থাকবে। তবে সাশ্রয়ী মূল্য ও সেবার মান নিশ্চিত করা গেলে এর ব্যবহার ব্যাপক হারে বাড়বে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।

শেয়ারবার্তা/ সাইফুল ইসলাম

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:

ভালো লাগলে শেয়ার করবেন...

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ