1. [email protected] : anjuman : anjuman
  2. [email protected] : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক
  3. [email protected] : শেয়ারবার্তা : nayan শেয়ারবার্তা
পতন ঠেকাল বিমা খাত
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০২:২২ এএম

পতন ঠেকাল বিমা খাত

  • আপডেট সময় : বুধবার, ২ মার্চ, ২০২২
insurence bd sharebarta

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে লেনদেন শুরু হয়। তবে শেষ পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকেনি। দিনের লেনদেন শেষে যে কয়টি প্রতিষ্ঠান দাম বাড়ার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে, দাম কমার তালিকায় স্থান হয়েছে তার চেয়ে বেশি। এরপরও ঊর্ধ্বমুখী থেকেছে সূচক। মূলত বেশির ভাগ বিমা কোম্পানি দাম বাড়ার ধারা ধরে রাখায় পতনের হাত থেকে কোনো রকমে রক্ষা পেয়েছে শেয়ারবাজার।

পুঁজিবাজার-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ সংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা, ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার ঘটনায় উদ্ভূত ধোঁয়াশায় বিনিয়োগকারীরা নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছেন। এসব কারণে লেনদেনে অংশগ্রহণ কমেছে।

গতকাল লেনদেন শুরু হয় প্রায় সবকটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। লেনদেন শুরুর ১০ মিনিটের মধ্যে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক প্রায় ৫০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। শুরুর এই বড় উত্থান প্রবণতা অব্যাহত থাকে লেনদেনের প্রথম ঘণ্টাজুড়ে। ফলে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ৭৭ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এতে দিন শেষে সূচকের বড় উত্থান দেখা যাবে এমনটাই প্রত্যাশা করছিলেন বিনিয়োগকারীরা। কিন্তু প্রথম ঘণ্টার লেনদেন শেষ হওয়ার পর বদলাতে থাকে চিত্র। দাম বাড়ার তালিকা থেকে পতনের তালিকায় নাম লেখাতে থাকে একের পর এক প্রতিষ্ঠান। প্রথমে পতনের তালিকায় আসতে শুরু করে ব্যাংক ও আর্থিক খাতের প্রতিষ্ঠান। পরবর্তীকালে বস্ত্র, প্রকৌশলসহ প্রায় সবকটি খাতের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমতে থাকে।

অবশ্য এ পরিস্থিতিতেও দাম বাড়ার ধারা ধরে রাখে বিমা কোম্পানিগুলো। ফলে তালিকাভুক্ত ৫৩টি বিমা কোম্পানির মধ্যে দিনের লেনদেন শেষে ৪৫টি দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখায়। বিপরীতে দরপতনের তালিকায় স্থান করে নেয় ৭টি বিমা কোম্পানি। সিংহভাগ বিমা কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে দিনের লেনদেন এতে ডিএসইতে ১৬৩টি প্রতিষ্ঠান দাম বাড়ার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৬৮টির এবং ৪৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ফলে বেশিরভাগ খাতেই দরপতন দেখা গেছে।

এরপরও দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১৪ পয়েন্ট বেড়ে ছয় হাজার ৭৫৩ পয়েন্টে উঠে এসেছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় দশমিক ২৪ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৪৫৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ৭ পয়েন্ট বেড়েছে ২ হাজার ৪৮৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

সূচক বাড়াতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে বেক্সিমকো, ওয়ালটন, ট্রাস্ট ব্যাংক, বেক্সিমকো ফার্মা, অলিম্পিক, ফারইস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ফরচুন শুজ, প্রিমিয়ার ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক ও গ্রামীণফোন। এই দশ কোম্পানি সূচকে যোগ করেছে ৩৫ দশমিক ১৮ পয়েন্ট। বিপরীতে ইউনিলিভার, ব্র্যাক ব্যাংক, বার্জার পেইন্টস, ইউনাইটেড পাওয়ার, তিতাস গ্যাস, লিনডে বিডি, র‌্যাক সিরামিকস, সাইফ পাওয়ার, ডোরিন পাওয়ার ও ওরিয়ন ফার্মা সূচক কমিয়েছে ২৪ দশমিক ৭৯ পয়েন্ট।

গতকাল ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৯৮ কোটি ৯১ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৭৩০ কোটি ১ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ৬৮ কোটি ৯০ লাখ টাকা। লেনদেন সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে বিবিধ খাত। লেনদেনের ২১ দশমিক ২ শতাংশ ছিল খাতটির দখলে। এ ছাড়া বস্ত্র খাতে ১২ দশমিক ৯, ওষুধ ও রসায়ন খাতে ১২ দশমিক ৪, প্রকৌশল খাতে ৭ দশমিক ৫ ও ব্যাংক খাতে ৭ দশমিক ২ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। বাকি খাতের লেনদেন ৬ শতাংশের নিচে ছিল।

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:

ভালো লাগলে শেয়ার করবেন...

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ