1. [email protected] : anjuman : anjuman
  2. [email protected] : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক
  3. [email protected] : শেয়ারবার্তা : nayan শেয়ারবার্তা
দুর্বল কোম্পানির জন্য ইস্যু ম্যানেজারদের শাস্তি দিতে হবে
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৪৭ পিএম

দুর্বল কোম্পানির জন্য ইস্যু ম্যানেজারদের শাস্তি দিতে হবে

  • আপডেট সময় : শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০১৯

পুঁজিবাজারে ভালো কোম্পানি আনা দরকার। নানা কারণে অনেকের জরিমানা করা হয়, কিন্তু ইস্যু ম্যানেজারদের কখনোই কিছু হয় না। যেসব ইস্যু ম্যানেজার খারাপ আইপিও আনছেন তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করা দরকার। কারণ তারা অনেক সময় কোম্পানি মালিকদের নানা মিথ্যা প্রলোভন দেখান।

এনটিভির মার্কেট ওয়াচ অনুষ্ঠানে বৃহস্পতিবার বিষয়টি আলোচিত হয়। খুজিস্তা নুর-ই-নাহারিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী ও পুঁজিবাজার বিশ্লেষক হাসান মাহমুদ বিপ্লব, বিএমএসএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রিয়াদ মতিন এবং শফিকুল আলম অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টসের সিইও মো. শফিকুল আলম, এফসিএ।

মো. রিয়াদ মতিন বলেন, ২০১১-১২তে মার্চেন্ট এবং ব্রোকারেজ হাউস বেশ অর্থ সংকটে পড়েছিল। ওই সময় আমরা বাংলাদেশ ব্যাংককে জানিয়েছিলাম, ব্যাংক এবং নন-ব্যাংকিং ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউট যেমন ব্যাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সহযোগিতা নিতে পারে, আমাদের এমন সুযোগ দেওয়া হোক। তৎকালীন অর্থমন্ত্রী ৯০০ কোটি টাকার ফান্ড দিয়েছিলেন। আমরা সেটা বিনিয়োগ করে আবার ফেরতও দিয়েছি। এরপর আবারও ফান্ড নিয়েছি। সেটাও দেওয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে। সমস্যা হচ্ছে এ অর্থের মেয়াদ কম। এখন দরকার আরও বেশি বিনিয়োগ। অনেক মার্চেন্ট ব্যাংকের পর্যাপ্ত অর্থ নেই। সরকার যদি ১০ হাজার কোটি টাকা দেয় তাহলে সেটা ইতিবাচক প্রভাব রাখবে আশা করছি।

হাসান বিপ্লব মাহমুদ বলেন, আগে যখন আইপিওর মাধ্যমে কোম্পানি আসত তখন বিএসইসি সরাসরি সিদ্ধান্ত নিত। এখন একটি বিশেষজ্ঞ দল থাকবে তারা আইপিওতে আসার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দেবেন। এটা ভালো উদ্যোগ। তবে ওই টিমে অবশ্যই একজন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট কিংবা চার্টার্ড ফিন্যান্সিয়াল অ্যানালিস্ট থাকা জরুরি। বাজারে প্রতি বছর ভালো কোম্পানি আসা দরকার। নানা কারণে অনেকের জরিমানা করা হয় কিন্তু ইস্যু ম্যানেজারদের কিছু হয় না। খারাপ আইপিও যেসব ইস্যু ম্যানেজার আনছেন তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করা দরকার। কারণ তারা অনেক সময় কোম্পানি মালিকদের নানা মিথ্যা প্রলোভন দেখান। দীর্ঘমেয়াদি ব্যাংক ঋণের চেয়ে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ অধিক শ্রেয়। কারণ ব্যাংককে সুদ দিতে গিয়ে যে ব্যয় হয় তা মেটাতে গিয়ে কোম্পানি মুনাফা করতে পারে না। এতে করে মন্দ ঋণের পরিমাণ বাড়ছে। এখন সময় এসেছে দীর্ঘমেয়াদি ঋণের জন্য পুঁজিবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করার। শোনা যাচ্ছে অর্থমন্ত্রী, বাজারে কয়েকটি ভালো মানের কোম্পানিকে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করবেন। এগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আনা দরকার। আর যেসব কোম্পানি পুঁজিবাজারে খারাপ করেছে ওই মালিকদের আর কোনো কোম্পানি বাজারে আনা যাবে না। কারণ যারা খারাপ করেছে তাদের থেকে ভালো কিছু আশা করা যাবে না।

মো. শফিকুল আলম বলেন, ভারতের অর্থনীতির আকারে ছোট হলেও আমাদের অবস্থান বেশ ভালো। এরপরও দেশে বিদেশি বিনিয়োগ আসছে না। এর একটি কারণ আস্থার অভাব। এজন্য ঢালাওভাবে আইপিও আসা ঠিক না। বিদেশি বিনিয়োগ দুইভাবে হয়। একটি সরাসরি অপরটি পোর্টফোলিও বিনিয়োগ। পোর্টফোলিও বিনিয়োগ সাধারণত পুঁজিবাজারের মাধ্যমে হয়। এক বছর আগেও বিনিয়োগের ঊর্ধ্বমুখী গতি লক্ষ করা যেত। সম্প্রতি তেমনটি দেখা যাচ্ছে না। এ বিষয়টি নিয়ে যথাযথভাবে কাজ করা প্রয়োজন।

পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে মন্দঋণ চার শতাংশের কম কিন্তু আমাদের এখানে খেলাপি ঋণ ১২ শতাংশের বেশি। এটি কমানোর জন্য ব্যাংক খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা জরুরি। বাইরের দেশে বিশেষ অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি গঠন করা হয়। তারা মন্দঋণ নিয়ে কাজ করে। আমাদের দেশেও এমনটি করা যেতে পারে।

শেয়ারবার্তা ৬ ডিসেম্বর ২০১৯

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:

ভালো লাগলে শেয়ার করবেন...

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ