1. [email protected] : anjuman : anjuman
  2. [email protected] : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক
  3. [email protected] : শেয়ারবার্তা : nayan শেয়ারবার্তা
উসমানিয়া গ্লাসের ব্যবসা পরিচালনা নিয়ে নিরীক্ষকের সন্দেহ
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:১৬ পিএম

উসমানিয়া গ্লাসের ব্যবসা পরিচালনা নিয়ে নিরীক্ষকের সন্দেহ

  • আপডেট সময় : রবিবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০১৯
Usmania-Glass

রাষ্ট্রায়াত্ব প্রতিষ্ঠান উসমানিয়া গ্লাস শীট ফ্যাক্টরী প্রতিযোগিদের তুলনায় পুরাতন প্রযুক্তিতে গ্লাস শীট উৎপাদন করছে। এক্ষেত্রে কোম্পানিটির পণ্য উৎপাদনে ব্যয় বেশি হয় এবং পণ্যের মান হয় তুলনামূলক নিম্নমানের। এরফলে বিক্রি কমে গেছে। যাতে কোম্পানিটি গত কয়েক বছর ধরে নিয়মিত লোকসানের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থায় প্রযুক্তিগত পরিবর্তন আনা দরকার হলেও আর্থিক সংকটে তা সম্ভব হচ্ছে না। যাতে কোম্পানিটির ভবিষ্যতে ব্যবসা পরিচালনা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন নিরীক্ষক।

কোম্পানিটির ২০১৮-১৯ অর্থবছরের আর্থিক হিসাব নিরীক্ষায় নিরীক্ষক এই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।

উসমানিয়া গ্লাসের ২টি ইউনিটের উৎপাদন ক্ষমতা ২ কোটি ১ লাখ স্কয়ার ফিট। এরমধ্যে ইউনিট ১ এর উৎপাদন ক্ষমতা ৬৭ লাখ ও ২ এর উৎপাদন ক্ষমতা ১ কোটি ৩৪ লাখ স্কয়ার ফিট। কিন্তু বাজারে চাহিদা কমে যাওয়ায় পণ্য বিক্রি কমে গেছে। ফলে কোম্পানিটির স্টকে আগের পণ্যই জমা রয়েছে। যাতে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ইউনিট ১ এর উৎপাদন বন্ধ ছিল।

নীরিক্ষক জানিয়েছেন, ইউনিট ১ এর মেশিনারীজ মেরামত ছাড়া উৎপাদনে যাওয়া সম্ভব না। একইসঙ্গে উসমানিয়া গ্লাস শীটের ফ্যাক্টরী উৎপাদনে বড় ধরনের প্রযুক্তিগত সমস্যায় ভুগছে। কোম্পানিটির উৎপাদন প্রযুক্তি প্রতিযোগিদের তুলনায় সেকেলে। যাতে কোম্পানিটির পণ্যের উৎপাদন ব্যয় বেশি হচ্ছে বিক্রির তুলনায়। ফলে কোম্পানিটি গত কয়েক বছর ধরে বড় পরিচালন লোকসানে ভুগছে।

২০১৭-১৮ অর্থবছরে উৎপাদনকৃত ৩২ লাখ স্কয়ার ফিট সাব-স্ট্যান্ডার্ড গ্লাস শীট ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বিক্রি করা হয়েছে। এগুলো উৎপাদনে ব্যয় ৪ কোটি ৭১ লাখ ৬৮ হাজার টাকা হলেও বিক্রি করা হয় ২ কোটি ৫৪ লাখ ৮ হাজার টাকায়। যাতে এই বিক্রিতে নিট লোকসান হয় ২ কোটি ১৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা। যা পরিচালন লোকসানের একটি কারন। এছাড়া আগের বছরের তুলনায় কাচাঁমালের মূল্য বৃদ্ধিও লোকসানের একটি কারন।

অন্যদিকে উচ্চ বিক্রয় কমিশন ২০১৮-১৯ অর্থবছরে লোকসানের পরিমাণ বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এসবের কারনে কোম্পানিটির ২০১৮-১৯ অর্থবছর শেষে পুঞ্জিভূত লোকসানের পরিমাণ দাড়িঁয়েছে ৩৫ কোটি ৬৪ লাখ ৪৫ হাজার ৮শত টাকা। যা কোম্পানিটির ভবিষ্যতে ব্যবসা পরিচালনা করার সক্ষমতা নিয়ে সন্দেহ তৈরী করেছে। যদি সরকার নগদ অর্থ এবং নতুন ও উন্নত প্রযুক্তির মেশিনারীজ ইনস্টল করে সহযোগিতা না করে।

উসমানিয়া গ্লাস দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনায় বড় তারল্য সংকটে ভুগছে। যে কোম্পানিটি এরইমধ্যে তারল্য সংকটে এফডিআর ভাঙ্গিয়ে ফেলেছে। কোন ধরনের দীর্ঘমেয়াদি সম্পদ কেনা ছাড়াই এই এফডিআর ভাঙ্গিয়ে ফেলতে হয়েছে।

উসমানিয়া গ্লাসে পুরাতন ফ্লোট গ্লাস প্রযুক্তি ব্যবহার করে। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে অনেক উন্নত গ্লাস তৈরী করা হয়। যার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পারছে না উসমানিয়া গ্লাস। কোম্পানিটি ফ্লোট গ্লাস প্রযুক্তি ব্যবহারে ব্যয় বাড়ছে, কিন্তু বিক্রি কমছে। এই অবস্থায় কোম্পানিটি আগামি ৩ বছরের মধ্যে কন্টেইনার গ্লাস তৈরীর প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে। যা যতটা সম্ভব বিদ্যমান সুবিধা দখল করবে।

রাষ্ট্রায়াত্ত্ব উসমানিয়া গ্লাসের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ১৭ কোটি ৪১ লাখ টাকা। কোম্পানিটি ১৯৮৭ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়।

শেয়ারবার্তা / আনিস

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:

ভালো লাগলে শেয়ার করবেন...

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ