1. [email protected] : anjuman : anjuman
  2. [email protected] : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক
  3. [email protected] : শেয়ারবার্তা : nayan শেয়ারবার্তা
টানা ছয় বছর ধরে লোকসানে খুলনা প্রিন্টিং
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৬ পিএম

টানা ছয় বছর ধরে লোকসানে খুলনা প্রিন্টিং

  • আপডেট সময় : শনিবার, ৭ জানুয়ারী, ২০২৩

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড (কেপিপিএল) সর্বশেষ ছয় বছর ধরে টানা লোকসানে রয়েছে। সর্বশেষ বছরগুলোতে কোম্পানিটির ব্যবসার পরিধিও ছোট হয়েছে। তবে লোকসানের বোঝা সর্বশেষ ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২১-২২ হিসাব বছরে অনেকটা কমে এসেছে। একই সঙ্গে চলতি ২০২২-২৩ হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকেও (জুলাই-সেপ্টেম্বর) আগের হিসাব বছরের একই সময়ের তুলনায় কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট লোকসান কমেছে।

আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০১৬-১৭ হিসাব বছর থেকে টানা লোকসানে রয়েছে খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির আয় হয়েছিল ৭ কোটি ১০ লাখ টাকা। এ সামান্য আয়ের বিপরীতে কোম্পানিটিকে পরিচালন লোকসান গুনতে হয়েছে ৪ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। বিভিন্ন খরচ শেষে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট লোকসান হয়েছে ৮ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। লোকসানের জন্য আলোচ্য হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের কোনো লভ্যাংশ দেয়নি কোম্পানিটি। একইভাবে পরের বছর অর্থাৎ ২০১৭-১৮ হিসাব বছরেও শেয়ারহোল্ডারদের কোনো লভ্যাংশ দেয়নি কোম্পানিটি। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটি আয় দেখিয়েছে শূন্য। এ সময়ে তাদের পরিচালন লোকসান গুনতে হয়েছে ২ কোটি ১১ লাখ টাকা। আর বিভিন্ন খরচ শেষে কর-পরবর্তী নিট লোকসান হয়েছিল ৮ কোটি ৮৯ লাখ টাকা।

২০১৮-১৯ হিসাব বছরে কোম্পানিটির আয় হয়েছে ৩১ কোটি ৩১ লাখ টাকা। আলোচ্য হিসাব বছরে আয় আগের বছরের তুলনায় বাড়লেও কোম্পানিটির পরিচালন লোকসান গুনতে হয়েছে ৮ কোটি ৯১ লাখ টাকা। আর বিভিন্ন খরচ শেষে কর-পরবর্তী নিট লোকসান হয়েছে ১৭ কোটি ১১ লাখ টাকা। আলোচ্য হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের ১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি।

২০১৯-২০ হিসাব বছরে কোম্পানিটির আয় আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটি ১০৮ কোটি ৬ লাখ টাকা আয় করেছিল। এ সময়ে কোম্পানিটি পরিচালন মুনাফায় ফিরলেও বিভিন্ন খরচ শেষে কর-পরবর্তী নিট লোকসান গুনতে হয়েছে ২ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের দশমিক ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে।

২০২০-২১ হিসাব বছরে কোম্পানিটির আয় হয়েছে ৫২ কোটি ৭ লাখ টাকা। এর বিপরীতে পরিচালন লোকসান হয়েছে ৪০ কোটি ২৩ লাখ টাকা। আর বিভিন্ন খরচ শেষে কর-পরবর্তী নিট লোকসান হয়েছিল ৪৪ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। আলোচ্য হিসাব বছরে শেয়ারেহাল্ডারদের কোনো লভ্যাংশ দেয়নি কোম্পানিটি।

সর্বশেষ ২০২১-২২ হিসাব বছরে কোম্পানিটির আয় আরো কমার পাশাপাশি নিট লোকসানও কমেছে। এ সময়ে কোম্পানিটির আয় হয়েছে মাত্র ১৪ লাখ টাকা। এর বিপরীতে পরিচালন লোকসান গুনতে হয়েছে ২০ কোটি ১৬ লাখ টাকা। আর বিভিন্ন খরচ শেষে কর-পরবর্তী নিট লোকসান হয়েছে ২২ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। লোকসানে থাকায় সর্বশেষ হিসাব বছরেও শেয়ারহোল্ডারদের জন্য কোনো লভ্যাংশের সুপারিশ করেনি কোম্পানিটি।

এদিকে চলতি ২০২২-২৩ হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট লোকসান হয়েছে ৪৪ লাখ টাকা। এ সময়ে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৬ পয়সা। এর আগের হিসাব বছরের একই সময়ে কোম্পানিটির নিট লোকসান হয়েছে ৭ কোটি ৫২ লাখ টাকা। এ সময়ে শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল ১ টাকা ৩ পয়সা।

খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং ২০১৪ সালে শেয়ারবাজারে আসে। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৭৩ কোটি ৪ লাখ টাকা। পুঞ্জীভূত লোকসান রয়েছে ৮৬ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ার সংখ্যা ৭ কোটি ৩০ লাখ ৪০ হাজার। এর মধ্যে ৩৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে, ১ দশমিক ১১ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও বাকি ৫৯ দশমিক ১৩ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীর হাতে রয়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত বৃহস্পতিবার কেপিপিএলের শেয়ারের সর্বশেষ দর ছিল ৮ টাকা ৯০ পয়সা। সমাপনী দর এদিন একই ছিল। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে ৮ টাকা ২০ পয়সা ও ১১ টাকা ৮০ পয়সা।

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:

ভালো লাগলে শেয়ার করবেন...

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ