1. [email protected] : anjuman : anjuman
  2. [email protected] : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক
  3. [email protected] : শেয়ারবার্তা : nayan শেয়ারবার্তা
গ্রামীণফোন-বিটিআরসি দ্বন্ধে নাকাল বিনিয়োগকারীরা
বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০৬:০৬ পিএম

গ্রামীণফোন-বিটিআরসি দ্বন্ধে নাকাল বিনিয়োগকারীরা

  • আপডেট সময় : শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৯
GP-BTRC

গ্রামীণফোনের কাছে ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা পাওনা চেয়ে গত এপ্রিল মাসে চিঠি দিয়ে টেলিযোগাযাগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা-বিটিআরসি। তখন থেকেই কমতে থাকে কোম্পানিটির শেয়ার দর। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীরা।

বহুজাতিক এই কোম্পানির শেয়ারের দাম কমায় সমগ্র বাজারে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে পুঁজিবাজারে। কারণ কোম্পানিটি দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) উত্থান-পতনের পেছনে ১১ দশমিক ১৬ শতাংশ অবদান রাখে।

এদিকে কয়েক দফা চেষ্টার পরও দাবিকৃত টাকা আদায় করতে না পেরে লাইসেন্স বাতিলের হুমকি দিয়ে নোটিস পাঠানো হয় বিটিআরসি। অন্যদিকে বিটিআরসির দাবি করা টাকার অঙ্ক ভিত্তিহীন বলে দাবি করে গ্রামীণফোন।

দাবিকৃত টাকা আদায় করতে না পেরে গত ৪ জুলাই গ্রামীণফোনের ব্যান্ডউইথ ক্যাপাসিটি ৩০ শতাংশ সীমিত করতে আইআইজিগুলোকে নির্দেশ দেয় বিটিআরসি।

কিন্তু তাতে গ্রাহকের সমস্যা হওয়ায় ১৩ দিনের মাথায় গত ১৬ জুলাই ওই নির্দেশনা প্রত্যাহার করে নেয় বিটিআরসি। তবে বিটিআরসির চেয়ারম্যান জহুরুল হক সেদিনই জানিয়ে দেন, টাকা না দিলে ‘এনওসি’ বন্ধের মত কঠোর পদক্ষেপে যাবেন তারা।

এর ধারাবাহিকতায় কয়েক দিন পর গ্রামীণফোনকে বিভিন্ন প্রকার সেবার অনুমোদন ও অনাপত্তিপত্র (এনওসি) দেওয়া স্থগিত রাখার ঘোষণা দেয় বিটিআরসি। এর ফলে আটকে যায় অপারেটরটির ফোরজি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের কাজ।

গ্রামীণফোন বলেছে, নিয়ন্ত্রক সংস্থার ওই পদক্ষেপের ফলে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের পাশাপাশি এ খাতের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা ব্যবস্থা এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের ওপর ‘নেতিবাচক প্রভাব’ পড়ছে। এ সমস্যা দিন দিন বেড়ে চললেও বছর শেষেও নিষেধাজ্ঞা ওঠেনি।

বিটিআরসি সালিশের মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তিতে রাজি না হওয়ায় আদালতে যায় গ্রামীণফোন। বিরোধ মেটাতে উদ্যোগী হন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল। এতে মীমাংসা না হওয়ায় গ্রামীণফোন ও বিটিআরসির কর্মকর্তাদের মধ্যে দুই দফা বৈঠকে কোনো সফলতা না আসায় অপারেটরটিকেই দায়ী করেন মন্ত্রী।

টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা-বিটিআরসির সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকার নিরীক্ষা দাবির নোটিসের ওপর হাই কোর্টের নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখে গত ২৪ নভেম্বর গ্রামীণফোনকে অবিলম্বে দুই হাজার কোটি টাকা পরিশোধের নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

কিন্তু সালিশের মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য এরপর রাষ্ট্রপতিকে উকিল নোটিশ পাঠায় গ্রামীণফোনের মালিক কোম্পানি টেলিনর।

বিষয়টিকে দুঃখজনক হিসেবে বর্ণনা করে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, “বাংলাদেশে ব্যবসা করবে একটি প্রতিষ্ঠান, সেই প্রতিষ্ঠানটি আমাদের রাষ্ট্রপতিকে উকিল নোটিস দিয়ে আর্বিট্রেশনের জন্য চাপ দেবে, এটা বোধহয় খুব সহজে গ্রহণ করার মত অবস্থা না।”

গত বছরের মূল্যায়ন ও আগামী বছরের সম্ভাবনা নিয়ে বিটিআরসি চেয়ারম্যান জহুরুল হক বলেন, “বর্তমানে টেলিযোগাযোগ খাত সোনালী সময় অতিক্রম করছে। অন্যান্য বছরগুলোর মত ২০১৯ সাল ছিল ডিজিটাল উন্নয়ন ও অগ্রগতির বছর। এজন্য আমি এ খাতের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।

“আশা করছি সরকারি, বেসরকারি এবং এ খাতের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত সকলের সহযোগিতায় ২০২০ সাল অতীতের সকল উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে অতিক্রম করে ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে আরেক ধাপ এগিয়ে যাবে।”

পুরো বছর ধরেই ফাইভ-জি প্রযুক্তি চালুর প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনায় ছিল টেলিকম খাত। ২০১৮ সালে ফাইভ জি প্রযুক্তির পরীক্ষামূলক কার্যক্রমও চালানো হয়।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলে আসছেন ২০২০ সালে ফাইভ-জি জগতে পা দেবে বাংলাদেশ। আর এটি নতুন সভ্যতার ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে।

দেশে ফাইভ-জি মোবাইল সেবা চালুর উদ্যোগ হিসেবে আগামী বছরের জানুয়ারী নাগাদ একটি পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা প্রণয়নের দিকে এগোচ্ছে বিটিআরসি। ২০২৬ সালের মধ্যে সারাদেশে ফাইভ-জি সম্প্রসারণের লক্ষ্য নিয়ে ইতোমধ্যে রোডম্যাপও তৈরি হয়েছে।

বাংলাদেশে রাষ্ট্রয়াত্ত অপারেটর টেলিটকের মাধ্যমেই ফাইভ-জি সেবার শুরু হবে বলে ইতিমধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী।

শেয়ারবার্তা / আনিস

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:

ভালো লাগলে শেয়ার করবেন...

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ