1. [email protected] : anjuman : anjuman
  2. [email protected] : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক
  3. [email protected] : শেয়ারবার্তা : nayan শেয়ারবার্তা
নতুন বছরেই ঘুরে দাঁড়াবে পুঁজিবাজার
সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৫:২১ এএম

নতুন বছরেই ঘুরে দাঁড়াবে পুঁজিবাজার

  • আপডেট সময় : মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৯
dse-cse-trade

দেশের উভয় পুঁজিবাজারে বছরের (২০১৯) শেষ কার্যদিবসে সূচকের উর্ধ্বমুখী প্রবণতায় লেনদেন শেষ হয়। এর ফলে টানা তৃতীয় দিনের মতো উত্থানে বিরাজ করছে সূচক। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০১৯ সালটি পুঁজিবাজারের জন্য মোটেই ভালো বছর ছিল না। বছরজুড়েই ছিল মন্দাভাব।

নির্বাচনের পর বর্তমান সরকার পুনরায় ক্ষমতায় আসায় জানুয়ারি মাসের শুরুটা ছিল বেশ ভালো। কিন্তু জানুয়ারির পর থেকে বাজারে টানা পতন শুরু হয়। এ পতনের পেছনে অনেকগুলো কারণ রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম ছিল গ্রামীণফোনের সঙ্গে পাওনা নিয়ে টেলিযোগাযোগ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থার দ্বন্দ্ব, বাজারে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিক্রির চাপ বেড়ে যাওয়া, একটি লিজিং কোম্পানিকে অবসায়নের সিদ্ধান্তের নেতিবাচক প্রভাব, অতিমূল্যায়িত দামে লেনদেন শুরুর পর নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের ব্যাপক দরপতন, ব্যাংক খাতে তারল্যসংকট ও উচ্চ সুদের হারের প্রভাব, চাহিদার তুলনায় বাজারে সরবরাহ বেড়ে যাওয়া এবং সবশেষে দরপতনের কারণে বিনিয়োগকারীদের চরম আস্থার সংকট। তাই শুরুতে যে প্রত্যাশা ছিল, তা পূরণ হয়নি। বরঞ্চ সূচক হাজার পয়েন্টের বেশি কমে গেছে। লেনদেনও তলানিতে। তবে ২০ সালে এসব সমস্যার সমাধান হবে। বিক্রির পরিবর্তে বিদেশিরা শেয়ার কেনায় আগ্রহী হবেন। এমনকি বাজারে ভালো মানের কোম্পানির সংখ্যা বাড়বে। কাজেই ২০২০ সালটি পুঁজিবাজারের জন্য ঘুরে দাঁড়ানোর বছর হবে বলেও মনে করছেন তারা।

কেউ কেউ বলছেন, চলতি বছরের শুরু থেকেই ঝিমিয়ে পড়েছে বাজার। মাঝে মাঝে সূচক বাড়ার চমকও থাকছে। তবে লেনদেন নামতে নামতে তলানিতে এসে ঠেকেছে। কাজেই এখন ঘুরে দাঁড়ানোর সময় হয়েছে বাজারের। কারণ পুঁজিবাজার এক জায়গায় স্থির থাকার জায়গা নয়। এখানে উত্থানের পর আসে পতন, আবার পতনের পর উত্থান। তুলনা করলে দেখা যায় সূচক ও লেনদেন পতনের শেষপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে।

এদিকে, আজকের বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসসহ টানা তিন কার্যদিবস ধরে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের উত্থান অব্যাহত রয়েছে। আজ লেনদেনের শুরু থেকেই ক্রয় প্রেসারে বাড়তে থাকে সূচক। সোমবার লেনদেন শেষে সূচকের পাশাপাশি বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। আর টাকার অংকেও লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। দিনশেষে ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ১৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৪৪৫২ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৯৯৯ পয়েন্টে এবং ডিএসই ৩০ সূচক ১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৫১৩ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৫৫টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৫৪টির, কমেছে ১৪২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৯টির। আর দিন শেষে লেনদেন হয়েছে ৩১৮ কোটি ৯৯ লাখ ৫৭ হাজার টাকা।

এর আগের কার্যদিবস দিন শেষে ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ৪৪৩৩ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ৯৯৭ পয়েন্টে এবং ডিএসই ৩০ সূচক ৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ১৫১২ পয়েন্টে। আর ওইদিন লেনদেন হয়েছিল ৩০০ কোটি ৭৭ লাখ ১৭ হাজার টাকা। সে হিসেবে আজ ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ১৮ কোটি ২২ লাখ ৪০ হাজার টাকা।

অন্যদিকে, দিনশেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সাধারণ মূল্যসূচক ১১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৮ হাজার ১৮৭ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ২৩০টি কোম্পানির ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৮৪টির, কমেছে ১০৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৯টির। আর দিন শেষে লেনদেন হয়েছে ১৮ কোটি ৭৭ লাখ ৭৪ হাজার টাকা।

বাজার সংশ্লিষ্ট-ব্যক্তিরা বলছেন, বিনিয়োগকারীদের সব সময় একটি কথা স্মরণ রাখা উচিত যে, বুঝেশুনে বিনিয়োগ করতে হবে। কিন্তু আমাদের দেশের পুঁজিবাজারে নতুন-পুরোনো এমন অনেক বিনিয়োগকারী রয়েছেন যারা না বুঝে অন্যের পরামর্শে বিনিয়োগ করেন। তাদের এমন প্রবণতা ত্যাগ করতে হবে। আর বর্তমান পরিস্থিতি কাটাতে বিনিয়োগকারীদের ধৈর্যহারা হলে চলবে না। যে কোনো পরিস্থিতি মানিয়ে নেওয়াই বুদ্ধিমান বিনিয়োগকারীর কাজ। পুঁজিবাজারে লাভের পাশাপাশি লোকসানের ঝুঁকিও রয়েছে। বিনিয়োগকারীদের এ বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে বলেও ধারনা করছেন তারা।

শেয়ারবার্তা/ সাইফুল

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:

ভালো লাগলে শেয়ার করবেন...

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ