1. [email protected] : anjuman : anjuman
  2. [email protected] : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক
  3. [email protected] : শেয়ারবার্তা : nayan শেয়ারবার্তা
পতনের ধারা কাটিয়ে ঊর্ধ্বমুখী ধারায় পুঁজিবাজার
বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১১:৪১ পিএম

পতনের ধারা কাটিয়ে ঊর্ধ্বমুখী ধারায় পুঁজিবাজার

  • আপডেট সময় : শনিবার, ৪ জানুয়ারী, ২০২০
up

পতনের ধারা কাটিয়ে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী ধারায় ফিরেছে দেশের পুঁজিবাজার। গত সপ্তাহে মূল্যসূচকের উত্থানের সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। সেই সঙ্গে বেড়েছে বাজার মূলধন। এর মাধ্যমে টানা চার সপ্তাহ পতনের পর ঊর্ধ্বমুখীতার দেখা পেল পুঁজিবাজার।

বিদায়ী সপ্তাহে লেনদেন হওয়া চার কার্যদিবসেই লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ে। এতে প্রতিদিনই প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক বাড়ে। তবে বড় মূলধনের বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমে। এতে কমেছে ডিএসইর বাছাই করা সূচক।

প্রধান মূল্যসূচকের সঙ্গে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার কারণে ডিএসইতে বেড়েছে বাজার মূলধনের পরিমাণ। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৪০ হাজার ৮১১ কোটি টাকা। যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৩ লাখ ৩৮ হাজার ৪৯৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২ হাজার ৩১৮ কোটি টাকা। অবশ্য এর আগে টানা চার সপ্তাহের পতনে ডিএসইর বাজার মূলধন প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা কমে।

দুই হাজার কোটি টাকার ওপরে বাজার মূলধন বাড়ার এই সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ২৩২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৮৬টির। আর ৩৮টির দাম অপরিবর্তিত।

বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার কারণে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের সপ্তাহের তুলনায় ৪০ দশমিক ৪৫ পয়েন্ট বা দশমিক ৯২ শতাংশ বেড়েছে। তবে আগের চার সপ্তাহের টানা পতনে এই সূচকটি ৩০০ পয়েন্টে কমে। এ হিসাবে তিনশ পয়েন্ট হারানোর পর ডিএসই প্রধান মূল্যসূচক ৪০ পয়েন্ট ফিরে পেল।

প্রধান মূল্যসূচক বাড়লেও ডিএসইর বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচকটি পতনের মধ্যেই রয়েছে। গত সপ্তাহে এ সূচকটি কমেছে ২ দশমিক ৮৩ পয়েন্ট বা দশমিক ১৯ শতাংশ। এর মাধ্যমে টানা পতনে এই সূচকটি প্রায় দেড়’শ পয়েন্ট কমল। ডিএসইর অপর মূল্যসূচক ডিএসই শরিয়াহ্ আগের সপ্তাহের তুলনায় ১৪ দশমিক ৫১ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ বেড়েছে।

এদিকে ডিএসইতে লেনদেনের গতি কিছুটা বেড়েছে। দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণ দুইশ কোটি টাকার ঘর অতিক্রম করে তিনশ কোটিতে পৌঁছেছে। গত সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৩২৫ কোটি ৭২ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ২৬৯ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ৫৫ কোটি ৯৬ লাখ টাকা বা ২০ দশমিক ৭৪ শতাংশ।

আর গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৩০২ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ১ হাজার ৭৯ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ২২৩ কোটি ২৬ লাখ টাকা বা ২০ দশমিক ৭৪ শতাংশ।

গত সপ্তাহের লেনদেনের মধ্যে ‘এ’ গ্রুপের প্রতিষ্ঠানের অবদান দাঁড়িয়েছে ৭৭ দশমিক ২০ শতাংশ। এছাড়া ডিএসইর লেনদেনে ‘বি’ গ্রুপের অবদান ১৫ দশমিক ৩০ শতাংশ। ‘জেড’ গ্রুপের প্রতিষ্ঠানের অবদান ২ দশমিক ৪৫ শতাংশ এবং ‘এন’ গ্রুপের অবদান ৫ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ।

গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে খুলনা পাওয়ার কোম্পানির শেয়ার। কোম্পানিটির ৫৮ কোটি ৫১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা সপ্তাহজুড়ে হওয়া লেনদেনের ৪ দশমিক ৪৯ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকার, যা সপ্তাহের লেনদেনের ২ দশমিক ৫৬ শতাংশ। ৩০ কোটি ১৫ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক।

লেনদেনে এরপর রয়েছে- স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল, বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস, লাফার্জাহোলসিম বাংলাদেশ, সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ, ড্যাফোডিল কম্পিউটির, ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স এবং সিনোবাংলা ইন্ডাস্ট্রিজ।

শেয়ারবার্তা / আনিস

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:

ভালো লাগলে শেয়ার করবেন...

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ