1. [email protected] : anjuman : anjuman
  2. [email protected] : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক
  3. [email protected] : শেয়ারবার্তা : nayan শেয়ারবার্তা
গুজব দমনে নিয়ন্ত্রক সংস্থার ভূমিকা কী ছিল?
মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ০৪:৫০ এএম

গুজব দমনে নিয়ন্ত্রক সংস্থার ভূমিকা কী ছিল?

  • আপডেট সময় : সোমবার, ৬ জানুয়ারী, ২০২০

গত ২ জানুয়ারি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী বলেন, গুজবের কারণে বাজার ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না। যারা গুজব ছড়াচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রশ্ন হচ্ছে, যদি গুজবের কারণে বাজার ঘুরে দাঁড়াতে না পারে, তাহলে এতদিন বিএসইসি, ডিএসই এবং সিএসই কী করেছে। বোঝা যাচ্ছে, নিয়ন্ত্রক সংস্থার বিভিন্ন পর্যায়ে যারা দায়িত্বে রয়েছে, সত্যিকার অর্থে, তারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছে না। আগে এদের বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। এরপর যারা কারসাজি বা গুজব ছড়াচ্ছে তাদের শাস্তি দেওয়া হোক। রোববার এনটিভির মার্কেট ওয়াচ অনুষ্ঠানে বিষয়টি আলোচিত হয়।

মাহমুদ হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিডিনিউজ ২৪ ডটকমের প্রধান প্রতিবেদক আবদুর রহিম হারমাছি এবং কালের কণ্ঠের সিনিয়র বিজনেস এডিটর ফারুক মেহেদী।

বিডিনিউজ ২৪ ডটকমের প্রধান প্রতিবেদক আবদুর রহিম হারমাছি বলেন, বৈঠকে অর্থের সরবরাহ বৃদ্ধিসহ পুঁজিবাজার উন্নয়নে ১১টি বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর সুদৃষ্টি, পরামর্শ এবং সহযোগিতা চেয়েছে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া সেখানে বাজার-সংক্রান্ত বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠক শেষে তিনি সহযোগিতার আশ্বাসও দিয়েছেন। আবার তিনি বলেছেন, গুজবের কারণে বাজার ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না। যারা গুজব ছড়াচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, যদি গুজবের কারণে বাজার ঘুরে দাঁড়াতে না পারে, তাহলে এতদিন বিএসইসি, ডিএসই এবং সিএসই কী করেছে। তাহলে নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাজ কী? এতে বোঝা যাচ্ছে, নিয়ন্ত্রক সংস্থার বিভিন্ন পর্যায়ে যারা দায়িত্বে রয়েছে, সত্যিকার অর্থে, তারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছে না। আগে এদের বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। এরপর যারা বাজারে কারসাজি বা গুজব ছড়াচ্ছে তাদের শাস্তি দেওয়া হোক। আগে মূল জায়গায় শাস্তি দিতে হবে। তারপর না অন্য জায়গায়।

কালের কণ্ঠের সিনিয়র বিজনেস এডিটর ফারুক মেহেদী বলেন, সম্প্রতি রেমিট্যান্স ছাড়া অর্থনীতির অন্যান্য সব সূচক নেতিবাচক দেখা যাচ্ছে। সার্বিক অর্থনীতির অবস্থা এর আগে ভালোই ছিল। কিন্তু পুঁজিবাজার কয়েক বছর ধরেই খারাপ অবস্থায় রয়েছে এবং ধীরে ধীরে আরও তলানিতে যাচ্ছে। ৪৮ হাজার কোটি টাকা নেই। এছাড়া সূচক নেমে এসেছে চার হাজার ৪০০ পয়েন্টে। এ পর্যন্ত বাজার-সংক্রান্ত বিভিন্ন মহল থেকে অনেক পদক্ষেপ ও বৈঠক হয়েছে। বিভিন্ন প্রণোদনাও দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সর্বোচ্চ মহল থেকেও আলোচনা ও বৈঠক হয়েছে। আবার আইসিবির বিপরীতে বিডিবিএলকে বিনিয়োগ ব্যাংক হিসেবে গঠন করা হবে বলা হচ্ছে। কিন্তু বাজারে যতই পদক্ষেপ নেওয়া হোক না কেন তার ইতিবাচক কোনো প্রভাব বাজারে দেখা যাচ্ছে না। স্বাভাবিকভাবেই বাজারে যারা বিনিয়োগকারী রয়েছেন তাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তাহলে বাজার কী শেষ হয়ে যাচ্ছে? আবার রাষ্ট্রায়ত্ত ভালো কোম্পানি বাজারে আসার কথা। কিন্তু সেটা আসছে না। বড় বড় অনেক প্রকল্প রয়েছে, এসব প্রকল্প সহজেই বাজারে আসতে পারে। কিন্তু এর কোনো কার্যকরি পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। এ বিষয় নিয়ে আগেও বলা হয়েছে এখনও বলা হচ্ছে। আসলে এখানে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা বড় একটি কারণ। বাজারে এসব কোম্পানি আসলে তাদের জবাবদিহি বেড়ে যাবে এবং আমলাদের নিয়ন্ত্রণ কমে যাবে এবং তারা অনেক সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন। এসব কারণেই কোম্পানিগুলো আসছে না বলে আমার ধারণা। পুঁজিবাজারের প্রাণ হচ্ছে বিনিয়োগকারী। তাই বাজার স্থিতিশীল অবস্থায় আনতে হলে বিনিয়োগকারীর আস্থা বাড়াতে হবে। বিগত বছরে বাজারে বিভিন্ন ধরনের কারসাজি হয়েছে, তার কোনো তেমন দৃশ্যমান শাস্তি দিতে দেখা যায়নি।

শেয়ারবার্তা / হামিদ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:

ভালো লাগলে শেয়ার করবেন...

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ