1. [email protected] : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক
  2. [email protected] : শেয়ারবার্তা : nayan শেয়ারবার্তা
  3. [email protected] : news uploder : news uploder
সমন্বিত গ্রাহক হিসাবের সুদ ব্রোকার-বিনিয়োগকারী কেউই পাবে না
বুধবার, ০৭ মে ২০২৫, ১২:৪২ পিএম

সমন্বিত গ্রাহক হিসাবের সুদ ব্রোকার-বিনিয়োগকারী কেউই পাবে না

  • আপডেট সময় : বুধবার, ৭ মে, ২০২৫
BSEC

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের নামে জমা রাখা অর্থ একক সমন্বিত গ্রাহক হিসাবে (সিসিএ) থাকে, তাতে ব্যাংক থেকে যে সুদ আসে, তা এতদিন ধরে বিতর্কিত অবস্থানে ছিল। বিনিয়োগকারীরা মূলধনের মালিক হলেও সেই সুদের উপর তাদের সরাসরি অধিকার ছিল না, আবার ব্রোকাররাও তা পুরোপুরি নিজেদের আয় হিসেবে দাবি করতে পারত না।

সুদে প্রাপ্ত এই অর্থ বছরের পর বছর ব্রোকারদের মাধ্যমে ব্যবহৃত হয়েছে, করও দেওয়া হয়েছে। তবে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এবার এই অবস্থার পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে। কমিশনের পর্যবেক্ষণ এই সুদের অর্থ কারও ব্যক্তিগত আয় নয় এবং তা ব্যবহারেও নিয়ন্ত্রিত কাঠামো থাকা জরুরি।

এ লক্ষ্যে বিএসইসি একটি খসড়া বিধিমালা প্রকাশ করেছে, যেখানে বলা হয়েছে—সিসিএর মুনাফা কারও মালিকানায় থাকবে না। বরং এই অর্থের ২৫ শতাংশ যাবে স্টক এক্সচেঞ্জের ইনভেস্টরস প্রটেকশন ফান্ডে এবং বাকি ৭৫ শতাংশ খরচ হবে বিনিয়োগকারীদের শিক্ষা ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে।

বিএসইসি বলছে, অতীতে ব্রোকাররা চাইলে এই সুদের টাকা অনুপাতে বিনিয়োগকারীদের ফেরত দিতে পারত, কিন্তু তারা তা করেনি। ফলে এবার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সরাসরি এই অর্থ ব্যবহারের দিকনির্দেশনা দিচ্ছে।

তবে এ খসড়াকে ঘিরে উঠেছে বিতর্ক। বিশ্লেষকদের মতে, যেহেতু এই অর্থ বিনিয়োগকারীদের মূলধন থেকেই এসেছে, তাই তাদের সম্মতি ছাড়া তা ব্যয় করা প্রশ্নবিদ্ধ। বিনিয়োগ শিক্ষায় এই অর্থের ব্যবহার হলেও তা কতটা কার্যকর হচ্ছে এবং তদারকি কাদের হাতে—এই প্রশ্নও সামনে এসেছে।

বিএসইসি অবশ্য বলছে, আইনের খসড়া প্রকাশ করা হয়েছে ওয়েবসাইটে এবং ১২ মে পর্যন্ত জনমত গ্রহণ চলবে। যেকোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এই খসড়ার বিষয়ে পরামর্শ বা আপত্তি জানাতে পারবে।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে—বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার নামে যে অর্থ অন্য খাতে ব্যয় হচ্ছে, তা আদৌ তাদের উপকারে আসবে কি না, নাকি এটি হয়ে দাঁড়াবে আরেকটি অস্বচ্ছ অর্থ ব্যবস্থাপনা?

বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, এটি এক ধরনের সম্পদ স্থানান্তর প্রক্রিয়া। বিনিয়োগকারীদের আয়ের একটি অংশ সরিয়ে নতুন একটি খাতে খরচ করা হচ্ছে, যার ওপর তাদের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। এই সিদ্ধান্ত ব্রোকারদের ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে। তারা সিসিএর সুদ থেকে নিয়মিত আয় করতেন, যা বন্ধ হলে তাদের আয় কমে যাবে। বাজারের বর্তমান আস্থার সংকটের সময়ে এমন সিদ্ধান্ত বাজারের শক্তি ও আস্থা আরও কমিয়ে দিতে পারে।

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:

ভালো লাগলে শেয়ার করবেন...

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ