বিদায়ী সপ্তাহে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক ইতিবাচক ছিল। তারপরও বাজার মূলধনে দেখা দিয়েছে বড় পতন। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ৩ হাজার ৫০২ কোটি টাকা—যা সাপ্তাহিক বাজার বিশ্লেষণ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
সপ্তাহ শেষে ডিএসইর মোট মূলধন দাঁড়ায় ৭ লাখ ৮ হাজার ১৮১ কোটি টাকায়। আগের সপ্তাহে এ অঙ্ক ছিল ৭ লাখ ১১ হাজার ৬৮৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক সপ্তাহে প্রায় ০.৪৯ শতাংশ মূলধন গলে যায়।
তবে সূচকের গতিপ্রকৃতি ছিল ভিন্ন। ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ২৪.৭১ পয়েন্ট বা ০.৪৬ শতাংশ। একইসঙ্গে ডিএসই-৩০ সূচক যোগ করেছে ১৫.৬২ পয়েন্ট (০.৭৫ শতাংশ) এবং ডিএসইএস সূচক বেড়েছে ১৭.১৭ পয়েন্ট (১.৪৮ শতাংশ)।
লেনদেনের দিক থেকেও বাজার ছিল চাঙা। পুরো সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪ হাজার ৫৩৫ কোটি ৬৯ লাখ টাকার শেয়ার, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ১ হাজার ৮৯ কোটি ৭৫ লাখ টাকা বেশি। গড়ে প্রতিদিন লেনদেন দাঁড়িয়েছে ৯০৭ কোটি ১৩ লাখ টাকা—যা আগের তুলনায় ৩১.৬২ শতাংশ বেশি।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট ৩৯৪টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিট লেনদেনের আওতায় আসে। এর মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৪১টির, কমেছে ১২৯টির এবং অপরিবর্তিত থেকেছে ২৪টি।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকে উত্থান দেখা গেলেও লেনদেনের পরিমাণ কমেছে। সপ্তাহ শেষে সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই বেড়ে দাঁড়ায় ১৫০২৪.৯৪ পয়েন্টে এবং সিএসসিএক্স হয় ৯২১৮.২১ পয়েন্টে। এতে যথাক্রমে ০.৪৩ শতাংশ ও ০.৩০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়।
এছাড়া, সিএসইর অন্যান্য সূচকের মধ্যে সিএসই-৩০ বেড়েছে ০.৩৮ শতাংশ, সিএসআই বেড়েছে ১.২৪ শতাংশ। তবে সিএসই-৫০ সূচক হারিয়েছে ০.৭২ শতাংশ।