1. [email protected] : anjuman : anjuman
  2. [email protected] : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক
  3. [email protected] : শেয়ারবার্তা : nayan শেয়ারবার্তা
চার দশক আগের উপন্যাসে ছিলো করোনার পূর্বাভাস!
বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ০২:৫১ এএম

চার দশক আগের উপন্যাসে ছিলো করোনার পূর্বাভাস!

  • আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ৫ মার্চ, ২০২০

চীনের উহান প্রদেশ থেকে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস কথা লেখা ছিলো প্রায় ৪ দশক আগের একটি থ্রিলার উপন্যাসে। যা লিখেছিলেন ঔপন্যাসিক ডিন কুনট্জ। ওই উপন্যাসের নাম ‘দ্য আইজ অব ডার্কনেস’।

উপন্যাসে ওই ভাইরাসটির নাম দেয়া হয়েছিলো ‘উহান-৪০০’। ওই উপন্যাসে এই ভাইরাসটি চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে একটি ল্যাবরেটরিতে জীবাণুঅস্ত্র হিসেবে তৈরি করা হয়েছিল। কাকতালীয় এখানেই যে, এই উহান থেকেই এবার নতুন করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে।

ফলে গুজব ছড়িয়ে পড়েছে, ১৯৮১ সালে লেখা ওই উপন্যাসে কি এই করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল? এ নিয়ে চলছে নানা তর্কবিতর্ক।

বাস্তবতা এখন যেটা তাতে উপন্যাস এবং বাস্তবতার মধ্যে অনেক বড় ব্যবধান। এ নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে পশ্চিমা মিডিয়ার অনেক পত্রপত্রিকায়। তাতে বলা হচ্ছে, ১৯৮১ সালে লেখা ওই থ্রিলার উপন্যাসেই লেখক ডিন কুনট্জ এই করোনা ভাইরাস সংক্রমণের বিষয়ে পূর্বাভাস দিয়েছিলেন বলে মনে করছেন তার ভক্তরা। চীনের উহানে ল্যাবরেটরিতে সৃষ্টি করা হয় তার উপন্যাসের জীবাণুঅস্ত্র ‘উহান-৪০০’। উহানের ল্যাবরেটরিতে তৈরি করা হয় বলে এর এমন নাম দিয়েছিলেন তিনি। তাই ওই উপন্যাসের একটি চরিত্রকে বলতে শোনা যায়- ‘দে কল দ্য স্টাফ উহান-৪০০ বিকজ ইট ওয়াজ ডেভেলপড অ্যাট দেয়ার আরডিএনএ ল্যাবস আউটসাইট দ্য সিটি উহান’। অর্থাৎ তারা এর নাম দিয়েছেন ‘উহান-৪০০’। কারণ, এই ভাইরাসটি উহান শহরের বাইরে আরডিএনএ ল্যাবরেটরিতে সৃষ্টি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নিক হিন্টন তার টুইটারে লিখেছেন, ডিন কুনট্জে তার ১৯৮১ সালে লেখা একটি উপন্যাসে করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাব নিয়ে পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। ওই অ্যাকেউন্টে নিক হিন্টন ওই বইয়ের যে অংশে ওই বর্ণনা ছিল তার একটি স্ক্রিনশট পোস্ট করেন। তবে এ বিষয়ে বিভিন্ন পত্রিকা থেকে ওই লেখকের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তিনি তার উপন্যাসের তদন্তের বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেননি।

যদিও প্রথমে উহানে করোনা ভাইরাস সনাক্ত হয়েছে তথাপি বিজ্ঞানীরা কোনো ঐক্যমতে আসেননি যে, কিভাবে এবং কোথা থেকে এই ভাইরাস মানুষের দেহে প্রবেশ করেছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়, উহানে বন্যপ্রাণির একটি বাজার থেকে এই ভাইরাস মানুষের দেহে সংক্রমিত হয়েছে। অন্যরা বলেন, এই ভাইরাসটি চীনের ‘উহান ভাইরোলজি ল্যাব’ থেকে ছাড়া হয়েছে। ‘উহান ভাইরোলজি ল্যাব’ হলো চীনের বায়োসেফটি লেভেল। অর্থাৎ বায়োলজিক্যালি যেসব জিনিস সেখানে তৈরি হয় তার নিরাপদ ভাগাড় এটা। তবে এ তত্ত্বের পিছনে কোনো প্রমাণ নেই।

বর্তমান করোনা ভাইরাস এবং উপন্যাসের উহান-৪০০ ভাইরাসের মধ্যে খুব বেশি মিল হলো তাদের উৎপত্তিস্থল। এ ছাড়া তাদের মধ্যে মিল খুব সামান্যই। ‘দ্য আইজ অব ডার্কনেস’ উপন্যাসে উহান-৪০০ হলো একটি জীবাণু অস্ত্র, ভাইরাস। মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যে এতে শতকরা ১০০ ভাগ মানুষকে হত্যার ক্ষমতা আছে। উপন্যাসে বর্ণনা করা হয়েছে, এই ভাইরাসটি সৃষ্টি করা হয়েছে একটি শহর বা একটি দেশকে সমূলে উৎখাত বা মুছে দেয়ার জন্য। এতে ব্যয়বহুল কোনো কিছু ব্যবহার করতে হবে না।

প্রসঙ্গত, চীনের উহান থেকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে মারা গেছেন ৩২৮৫ জন। এরমধ্যে শুধু চীনেই মারা গেছে ৩ হাজার ১২ জন।

শেয়ারবার্তা / হামিদ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:

ভালো লাগলে শেয়ার করবেন...

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ