সিকিউরিটিজ-সংক্রান্ত আইন লঙ্ঘনের কারণে বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি লিমিটেড (বেক্সিমকো), বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড এবং নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান এমজে আবেদীন অ্যান্ড কোং-কে সতর্ক করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এই সতর্কবার্তা জারি করা হয় গত জুলাই মাসে। পাশাপাশি ধানমন্ডি সিকিউরিটিজ লিমিটেড ও এর ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ তিন পরিচালককে মোট ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বিএসইসির তথ্যানুসারে, জুলাই মাসে বেক্সিমকো লিমিটেড ও বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের পরিচালনা পর্ষদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, প্রধান অর্থ কর্মকর্তা ও কোম্পানি সচিবসহ এমজে আবেদীন অ্যান্ড কোং-কে ভবিষ্যতে সিকিউরিটিজ আইন কঠোরভাবে মেনে চলার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
অন্যদিকে, ২০২৩ সালের ২৯ জানুয়ারি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ধানমন্ডি সিকিউরিটিজ লিমিটেডে পরিদর্শন চালিয়ে একটি প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রতিবেদনে শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত বেশ কিছু অনিয়মের তথ্য উঠে আসে। এসব লঙ্ঘনের দায়ে প্রতিষ্ঠানটিকে ১ লাখ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মিজানুর রহমান খানকে ১ লাখ, পরিচালক আখতার জাহান খানকে ১ লাখ, মো. মেজবাহউদ্দীনকে ১ লাখ এবং আসিফ ইসলাম খানকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। তাদের ৩০ দিনের মধ্যে জরিমানা পরিশোধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে, গত জুনে বিএসইসি সিকিউরিটিজ আইন ভঙ্গের অভিযোগে এএম সিকিউরিটিজ অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড, মিকা সিকিউরিটিজ লিমিটেড, ইউনাইটেড সিকিউরিটিজ লিমিটেড, এনসিসি ব্যাংক সিকিউরিটিজ অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস লিমিটেড, গেটওয়ে ইকুইটি রিসোর্সেস লিমিটেড, ধানমন্ডি সিকিউরিটিজ লিমিটেড, ডিএমআর সিকিউরিটিজ লিমিটেড ও নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান এবি অ্যান্ড কোং-কে সতর্ক করেছিল।
তারও আগে, গত মে মাসে শেয়ারদরে কারসাজির অভিযোগে নয় ব্যক্তি ও পাঁচ প্রতিষ্ঠানকে মোট ২ কোটি ৫২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এদের মধ্যে সরকারি কর্মকর্তা মো. আবুল খায়ের হিরু ৩৭ লাখ, তার স্ত্রী কাজী সাদিয়া হাসান ১৩ লাখ, পিতা আবুল কালাম মাতবর ৩ লাখ, বোন কনিকা আফরোজ ৫৯ লাখ এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ইশাল কমিউনিকেশন লিমিটেড ৮৫ লাখ টাকা জরিমানার মুখে পড়ে। এছাড়া ব্যবসায়িক অংশীদার ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ৩ লাখ, মো. জাহেদ কামাল ২ লাখ, মো. আশফাকুজ্জামান ১ লাখ, হুমায়ন কবির ৩ লাখ, তার স্ত্রী ও ব্যবসায়িক অংশীদারদের প্রতিষ্ঠান মোনার্ক মার্ট লিমিটেড ১৫ লাখ, লাভা ইলেকট্রোডস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ৩ লাখ, মোনার্ক এক্সপ্রেস লিমিটেড ২২ লাখ, সিডব্লিউটি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি ৫ লাখ এবং এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিজা চৌধুরী ১ লাখ টাকা জরিমানা গুনেছে।